সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে এ বছর সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। এ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুপারির ফলন ভালো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে দ্রব্যমূল্যের বর্তমান দাম অনুযায়ী সুপারির বাজারদর কম থাকায় শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এখানকার বেতাগীর কৃষক, গৃহস্থ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের ছোট-বড় মিলিয়ে বিভিন্ন বাড়ির আঙিনা ও বাগানে প্রায় আট হেক্টর জমিতে সুপারির বাগান রয়েছে। এ বছর এসব বাগানের সব গাছে সুপারি ধরেছে।
বাগান মালিকরা জানান, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে সুপারি গাছে ফুল আসে। সেই ফুল থেকে সুপারি হয়, যা কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে পুরোপুরি পেকে যায়। আশ্বিন মাসের শেষ দিকে বাজারে সুপারি আসতে শুরু করে। মূলত কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে সুপারির ভরা মৌসুম। এখন উপজেলার প্রতিটা বাজারে প্রচুর পরিমাণে বিক্রির জন্য সুপারি আসছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেগুলো কিনে ৬০ শতাংশ পানিভর্তি পাত্রে ভিজিয়ে রাখে। ৪০ শতাংশ সুপারি দেশের বিভিন্নস্থানে সরবারাহ ও রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু এ বছর কাঁচা-পাকা সুপারির দাম কম হওয়ায় হতাশ কৃষক, গৃহস্থ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
আব্দুর রহমান জানায়,বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী সুপারির দাম কম। এ বছর আশ্বিন মাসের প্রথম দিকে দাম ভালো ছিল কিন্তু কার্তিক মাসের শুরু থেকে দাম কমে গেছে।
উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়নগুলোতে সুপারি বিক্রির প্রধান বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বেতাগী পৌর শহরের বাজার, ঝোপখালী বাজার, পুটিয়াখালী, রানীপুর, গড়িয়াবুনিয়া, বিবিচিনি, লক্ষ্মীপুরা, দেশান্তরকাঠী, বাসন্ডা, হোসনাবাদ, জলিশা, মোকামিয়া, সোনার বাংলা, কাজিরহাট, বলইবুনিয়া, কাউনিয়া, চান্দখালী, মিরেরহাট, কুমড়াখালী, সড়িষামুড়িসহ উপজেলার ৪০টির বেশি বিভিন্ন হাট-বাজারে চলছে সুপারি কেনা-বেচার জমজমাট ব্যবসা। এসব বাজার থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সুপারি কিনে পাইকারি ও আড়তদারদের কাছে বিক্রি করছেন। এসব বাজারে এক কুড়ি সুপারি ২২০ টাকা, মানভেদে ২২৫ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ভালো সুপারি তিন শি’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কম বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
বেতাগী পৌরসভার বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ভূদেব সমাদ্দার বলেন, ‘এ বছর সুপারির ভালো ফলন হলেও গত বছরের তুলনায় বাজারে দাম কম।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, এ বছর উপজেলার সুপারি বাগানের মালিকরা সঠিক সময়ে সঠিক পরিচর্যা করায় সুপারির এমন ফলন হয়েছে। তবে বাজারে কাঁচা-পাকা সুপারির দাম না থাকায় গৃহস্থ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কিছুটা শঙ্কায় রয়েছেন।
Leave a Reply