শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া বিশাল আকারের পায়লা হরণটি শেষ পর্যন্ত মারা গেছে।
হরিণঘাটা বনে অবমুক্ত করা হয় শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বেলা বারোটার দিকে। পাথরঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়নের এই হরিণঘাটা ইকোপার্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান এবং পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত হয়ে হরিণটি অবমুক্ত করেন। হরিণটি অসুস্থ হয়ে পরলে আজ সোমবার(১৫ জানুয়ারী) দুপুর দেড়টার দিকে বনবিভাগের সদস্যরা হরিণটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফের উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলে বনবিভাগ সূত্রে জানাগেছে। এদিকে হরিণের যথাযথ চিকিৎসা না দিয়েই মাত্র ৩দিনের মধ্যে বনে ছেড়ে দেয়ার কারনে হরিণের মৃত্যু ঘটেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বনবিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মঙ্গলবার(৯জানুয়ারী) বিষখালী নদীতে ভাসমান অবস্থায় হরিণটিকে উদ্ধার করে নদীতে টহলরত কোস্টগার্ডের সদস্যরা। কোস্টগার্ড পাথরঘাটা বন বিভাগের কাছে হরিণটিকে হস্তান্তর করলে পিছনের বাম পায়ে আঘাত দেখা যায়। পরে আহত হরিণটিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। তিনদিনের চিকিৎসা শেষে হরিণের আপন আবাসস্থলেই অবমুক্ত করা হয়।
এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটার হরিণঘাটা বনের বিট কর্মকর্তা আব্দুল হাই, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমল তালুকদার প্রমুখ।
পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষখালী নদী থেকে হরিণটি উদ্ধার হওয়ার পর ৩ দিন চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হরিণটি শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়ার পর হরিণঘাটা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে বলেও তখন দাবী করা হয় ।
পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পর্যটন উদ্যাক্তা মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ বলেন,হরিণের জন্য এখন আর নিরাপদ নয় এই বনাঞ্চলটি। আশারাখি সরকার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিষয়টির প্রতি নজর দিবেন।
সর্বশেষ সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় এরিপোর্ট তৈরিকালে মৃত হরিণটিকে পাথরঘাটা বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য। তিনি আসার পরে
সরকারি নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে চামড়াটি সংরক্ষণ করে মাটিচাপা দেয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
Leave a Reply