সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
রিপন হাওলাদার ॥ বরিশাল সদর উপজেলার ৮নং চাঁদপুরা ইউনিয়নের হিজলতলা মৌলাভিরহাট বাজারের কনফেশনারী ব্যবসায়ী মোঃ সুমন মোল্লাকে নানা ভাবে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ ফেব্র“য়ারী বরিশাল মেট্টোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম অভিযান চলাকালে মৌলাভীরহাট বাজারে যায়। সেই সময় প্রধান সড়কে মটর সাইকেলের উপর বসা ছিলো স্থানীয় কনফেকশনারী ব্যবসায়ী সুমন। হঠাৎ করেই উক্ত দলটি মাইক্রোবাস থামিয়ে পরিচয় না দিয়ে সুমনকে তল্লাশী শুরু করলে তাতে বাধা দেয় সুমন। এপর্যায়ে সুমনের সাথে গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে।
পরিশেষে তারা পরিচয় দেয় গোয়ান্দা পুলিশের সদস্য। পরে সুমনের দোকান তল্লাশী করার জন্য গেলে সেখানে গিয়ে সুমনকে নানা ভাবে গালিগালাজ করে ডিবি পুলিশের এএসআই মাহামুদ জামান। যাহার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে সুমনের দোকানের সিসি ক্যামেরায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এঘটনার অনুঘটক ডিবি পুলিশের সাবেক কলেষ্টবল শাকিল। শাকিলের পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী সুমন মোল্লা। তার কাছ থেকে অর্থলোপাট করার জন্য শাকিল তার টিমের সদস্যদের বলেন, স্যার ওর কাছে মাল আছে। আমার সোর্স বলছে। এমন ঘটনার জম্ম দিয়ে শাকিল চলে যায় পর্দার আড়ালে। এমন ঘটনা নিয়ে চাঁদপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি লিটন খান প্রথমে উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিবি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে জানান।
তারা ব্যবস্থা নেয়ার পূর্বেই স্থানীয় এক ব্যক্তির ফোন পেয়ে হাজির হন ৯৯৯ থেকে নির্দেশিত একটি দল। সেখান থেকে কল আসার পরেই বিষয়টিকে আরো গুরুত্ব দিয়ে গঠন হয় তদন্ত কমিটি। ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার(এসি) নাসির উদ্দিন মল্লিককে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
তাৎনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান নাসির উদ্দিন মল্লিক। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিন পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন দাখিলের পর ৫ ফেব্র“য়ারী দুই জনকে অন্য থানায় বদলি করা হয়। সূত্র জানিয়েছে ঘটনার দিনে অভিযোগকারী সুমন মোল্লার কাছ থেকে আদায় করা ২ হাজার টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য বলেন উর্ধতন কর্মকর্তারা।
কিন্তু পুলিশ কনেষ্টবল শাকিল সেই টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো মামলার ভয় দেখায়। বদলী হওয়ার পরে নাজমুল থেমে গেলেও থামেনি কনষ্টেবল শাকিল। তিনি বর্তমানে বিএমপি পুলিশের কাউনিয়া থানায় কর্মরত রয়েছে। সুমন মোল্লা জানিয়েছেন তার জীবনের নিরাপত্তা নেই। কারন পুলিশ কনষ্টেবল শাকিল বিভিন্ন লোক দিয়ে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। হুমকি দাতারা হলেন ছাত্রলীগ নেতা সুজন, কুদ্দুস শরিফ, মানবাধিকারকর্মী পরিচয়দানকারী মনিরসহ আরো বেশ কয়েকজন।
আমি কি অভিযোগ দিয়ে ভূল করেছি? এমন কথাই গনমাধ্যমকর্মীদের জানান সুমন। তিনি আরো জানান, আমার পে কথা বলতে এসে ওই সময় হাতে হাতকড়া পরেছে অন্য ব্যবসায়ী মিল্টন। পুলিশের এমন বেপরোয়া আচরন আর কখনো দেখিনি। জানা গেছে, গত ৩ ফেব্র“য়ারী আইনশৃঙ্খলা রায় বন্দর থানা এলাকায় ডিউটিতে যান এসআই হেলালুজ্জামানের টিম। এঘটনার সময় হেলালুজ্জামান নিজেও গাড়িতে বসা ছিলেন। তবে শাকিলের এই বেপরোয়া আচারনে শংকিত সুমনের পরিবার।
এবিষয়ে পুলিশ কনষ্টেবল শাকিল এর সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই ঘটনায় নির্দোষ । আমাকে জড়ানো হয়েছে। পুরো ঘটনার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি সকল বিষয়ে এড়িয়ে গিয়ে বিএমপি পুলিশের মুখপাত্রের সাথে কথা বলতে বলেন।
পরে শাকিলের পে সাফাই গাইতে চলে আসেন এক সাংবাদিক। এবিষয় বিএমপি পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার(ডিবি) নাসির উদ্দিন মল্লিক জানান, আসলে এটা অন্যায়। এমন কেউ করলে আমাদেরকে জানাতে বলেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। (পুলিশ কনষ্টবল শাকিলের ইতিহাস জানতে চোখ রাখুন)।
Leave a Reply