সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের আট দিনেও খোঁজ না পেয়ে ওই ছাত্রীর দাদা চারজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেছে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে।
বৃহস্পতিবার ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার টিয়াখালী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আসামিরা হলেন খেকুয়ানী গ্রামের মোস্তফা মৃধার ছেলে মনির মৃধা, উত্তর টিয়াখালী গ্রামের মোস্তফা মুন্সীর ছেলে নিজাম ও নুর সাইদ এবং তার স্ত্রী আসমা।
জানা যায়, ওই স্কুল ছাত্রী চার নভেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটায় উত্তর টিয়াখালী আমিরজান স্কুলের সামনে পাকা রাস্তার সামনে ছিলেন। ওই সময় আসামি মনির মৃধা ও অপরিচিত একজন লোক তার নাতনিকে একটি মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
স্কুলছাত্রীর ডাক চিৎকারে তার সহপাঠি সফিক ও সাকিব এগিয়ে গেলেও স্কুলছাত্রীকে আটকাতে পারেনি।
বাদি শানু মৃধা বলেন, আমার নাতনির মা-বাবা ঢাকা থাকে। আমার কাছে থেকে নাতনি পড়াশোনা করে। আসামি মনির মৃধা আমার নাতনিকে পথে ঘাটে কুপ্রস্তাব দেয়, বিয়ে করতে চায়। আমরা রাজি না হলে আমার ১৪ বছরের নাতনিকে অন্য আসামিদের সহায়তায় অপহরণ করেছে। আমার বিশ্বাস মনির আমার নাতনিকে কোথাও আটক রেখে ধর্ষণ করেছে, অথবা ধর্ষণ করে হত্যা করতে পারে।
বাদি আরো বলেন, নাতনিকে খুঁজে কোথাও না পেয়ে আমতলী থানায় ৮ নভেম্বর মামলা করতে যায়। থানায় মামলা নেয়নি।
আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ব্যাপারে আমতলী থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছে। আমি কেনো মামলা নিব না। যখন আসবে তখন মামলা নিব।
Leave a Reply