সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার পাথরঘাটায় আদালত চত্বর থেকে গাছ বিক্রির পাওনা টাকা আদায়ের একটি মামলার হাজিরা দিয়ে যাওয়ার সময় বাদি জালাল হাওলাদারকে (৭০) অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। অপহরণের দু’ঘন্টার মধ্যেই আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত ও মামলার বাদি জালাল হাওলাদার উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কুপদোন গ্রামের মৃত নজর আলী হাওলাদারের ছেলে। অপহৃত জালালের বোন কুলসুম ও মমতাজ বেগম অভিযোগ করেন, একই গ্রামের মো. হারুনসহ ৬জনকে আসামি করে গাছ বিক্রির পাওনা টাকা আদায়ের একটি মামলা করেন ভাই জালাল হাওলাদার।
ওই মামলার ধার্য্য তারিখে পাথরঘাটা জুডিসিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিয়ে যাওয়া সময় আদালত চত্বর থেকে দুইটি মোটরসাইকেলে ৬ জন লোক এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
এ সময় আমরা বাধা দিলে আমাদেরকেও মারধর করে এবং প্রত্যক্ষদর্শী অ্যাডভোকেট সহকারি আলম মিয়াকেও মারধর করে। এদিকে অপহরণের তার বোন কুলসুম আদালতকে অবহিত করলে বিচারক তাৎক্ষণিক পাথরঘাটা থানা পুলিশকে অপহৃতকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন। পুলিশ পাথরঘাটা কলেজ গেট এলাকা থেকে জালালকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আদালতে হাজির করে।
এ সময় অপহৃত বাদির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আদালত চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেন। মামলার বাদি ও অপহৃত জালাল হাওলাদার বলেন, আমাকে ধরে নিয়ে মারধর করেছে, মামলা প্রত্যাহারের জন্যও হুমকি দেয়। আমি বাঁচতে চাই। আমার মামলা মোকদ্দমা লাগবেনা। তবে কারা তাকে অপহরণ এবং মারধর করেছে তাদের নাম বলতে পারেনি তিনি। প্রত্যক্ষদর্শী আলম মহরার বলেন, বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করে দুর্বৃত্তরা।
তাদের নাম জানি না দেখলে চিনতে পারব। মামলার বাদি পক্ষের কৌশুলী ও এপিপি মো. জাবির হোসেন বলেন, মামলার আসামিরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বাদিকে অপহরণ করিয়েছে এবং তাকে মারধরও করেছে। আদালত বাদিকে চিকিৎসার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাদিকে পাথরঘাটা কলেজ গেট এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে বলে আদালতকে অবহিত করে পুলিশ। মামলাটি তদন্তে জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয় পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সাইদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার বাদী জালাল আহমেদকে কলেজ রোডে এমপির বাসার সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
Leave a Reply