বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে দ্বিতীয় ধাপে সর্বাত্মক লকডাউনে পরিচয়পত্র দেখানো নিয়ে চিকিৎসক, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে বাগবিতণ্ডার বিষয়টিতে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এক আইনজীবী।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি উপস্থাপন (মেনশন) করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, মাই লর্ড, জনস্বার্থে আমার একটা মেনশন আছে। পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ডাক্তার হয়রানির শিকার হন।
আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, প্রয়োজনে ডাক্তার আসতে পারেন। এতে আপনার কিছু করার নেই। দেখা যায়, ডাক্তার সাহেব পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাই ডাক্তার আর পুলিশ বিষয়টি বুঝুক। তাই এটি আপাতত থাক।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল লকডাউনের পঞ্চম দিনে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। ভিডিওতে দেখা যায়, দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের তল্লাশিতে পড়েন।
সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউমার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন।
চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে তার আইডি কার্ড দেখতে চান। সঙ্গে আইডি কার্ড আনেননি বলে জানান ওই চিকিৎসক। এরপর তার কাছে মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়। জেনি জানতে চান, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে?
এরপর জেনি তার গাড়িতে বিএসএমএমইউ স্টিকার ও হাসপাতাল থেকে পাওয়া তার লিখিত পাস দেখান। এরপরও পুলিশ তার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চান। পরে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
Leave a Reply