সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পিরোজপুরে যেখানে-সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা। এর মধ্যে বেশিরভাগই অবৈধ। এসব ভাটার আগুনে পুড়ছে উর্বর মাটি। ফলে শতশত বিঘা ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া আবাদি জমি কমার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।
কচা নদীর তীর ঘেঁষে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার চর খোলপটুয়া গ্রামটি। এ গ্রামে রয়েছে পাঁচটি ইটভাটা। যার একটিরও নেই লাইসেন্স। এসব ভাটায় ইট বানানোর জন্য ফসলি জমিতে করা হয়েছে গভীর পুকুর।
খোলপটুয়া গ্রামের বাসিন্দা নূর হোসেন ও রাব্বি মোল্লা জানান, কোনো কোনো ভাটায় ইট পোড়ানোর জন্য কয়লার সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। এমনকি এ গ্রামের বেড়িবাঁধটিও ভাটার ইট পরিবহনের জন্য কেটে ফেলেছেন মালিকরা। এছাড়া কিছু কিছু ভাটায় শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। পাশাপাশি অন্য শ্রমিকদের শিকলে বেঁধে কাজ করানোর অভিযোগও রয়েছে।
এভাবে অনিয়ন্ত্রিতভাবে আইন অমান্য করে ইটভাটা চলায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে ভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কথা বলতেও সাহস পান না।
এদিকে বন্যার সময় খোলপটুয়া গ্রামের বেড়িবাঁধটি ভেঙে গেছে বলে দাবি ইটভাটার মালিকদের। আর বৈধভাবেই ভাটা স্থাপন করে ইট প্রস্তুত করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
পিরোজপুরের ডিসি আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, জেলায় মোট ২৪টি বৈধ ইটভাটা রয়েছে। এছাড়া বাকি সব ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসব ভাটার মালিকদের তালিকা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply