সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক::শেবাচিম হাসপাতালে শিশু বিভাগের ডাঃ মোঃ মোস্তফা অবসরে গিয়ে নগরীর ২৯নং ওয়ার্ড ইছাকাঠী এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন। ব্যক্তিগত চেম্বার নিয়ে এখনো মানব সেবায় নিয়োজিত তিনি। হঠাৎ করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের রোড ইন্সপেক্টরসহ ৮/১০জনের একটি দল বাড়িতে গিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২টার দিকে টিনের ঘরের পাশে রক্ষিত ৩টি রিং ও প্যানস্লাব ভেঙ্গে ফেলে।
ওই সময় ডাক্তারের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা ভাঙ্গার কারন জানতে চাইলে এবং বাধা দিলে উল্টো হুমকি দামকি দিয়ে চলে যায় তারা। পরের দিন ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৩টার সময় বিসিসির রোড ইন্সপেক্টর কবিরসহ আরো ১০/১২জনে একই বাড়িতে গিয়ে নিজস্ব জমিতে নির্মিত সেপটিট্যাংক ভেঙ্গে ফেলে।
এসময় আবারো বাধা দিলে এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নির্দেশ বা নোটিশ আছে কিনা তা জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বড় ভবন ভেঙ্গে ফেলার হুমকি এমনকি আটক করে নিয়ে যাওয়ার কথা জানায় ঐ কর্মচারীরা।
কোন নোটিশ বা নিদের্শ ছাড়াই কেন ভাঙ্গা হয়েছে তা জানতে বিসিসির মেয়রের সরণাপন্ন হন ডাঃ মোঃ মোস্তফা। ঘটনাশুনে বিসিসির মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ২৮ ফেব্রুয়ারী ডাঃ মোস্তফাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলেন।
পরে লিখিত অভিযোগে ডাঃ মোস্তফা জানান, নগরীর ২৯নং ওয়ার্ডে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে স্ব-পরিবারে বসবাস করেন তারা।
পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে নিজের ঘর ও সেপটিট্যাংক রয়েছে। সরকারী বা অন্য কারোর জমির উপরে আমরা বসবাস করিনা। তার পরেও কারো আপত্তি থাকলে তা সঠিকভাবে নির্ধারন না করে নির্মিত স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলায় প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবী করেন ডাঃ মোস্তফা। এছাড়াও তার অনুপস্থিতিতে তার পরিবারে সদস্যদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরনের বিচার দাবী করেন তিনি।
সিটি মেয়র ঘটনা শুনে ডাঃ মোস্তফাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলে আস্বস্থ্য করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে কার নির্দেশে ভাঙ্গা হলো ডাক্তারের এর স্থাপনা। জানেননা বিসিসি’র মেয়র, নেই কোনো উচ্ছেদের নোটিশ।
Leave a Reply