নগরীতে পুলিশ সদস্য'র তান্ডব,আহত ৫ Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




নগরীতে পুলিশ সদস্য’র তান্ডব,আহত ৫

নগরীতে পুলিশ সদস্য’র তান্ডব,আহত ৫




স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের রশিদ খানের দুই পুত্র পুলিশের এএসআই মিজানুর রহমান ফারুক ও এড্যভোকেট ( শিক্ষানবিশ)মহাসিন খান বশার ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরা ক্ষমতার দাপোটে তোয়াক্কা করে না কাউকেই। এবার তাদের হামলার শিকার হলো সাত ভাই বোনরা।

 

গতকাল সোমবার রাত ৭ টায় নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের এআর খানপুড়ি বাড়ির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন রশিদ খানেই ছোট স্ত্রী’র ৫ সন্তান আব্দুল রহমান খান রিপন (৪০),ওয়াসিম খান (৩০), রিপা আক্তার (২৮), জামাল খান (২২), কামাল খান (২২)। আহত ওই ৫ জন বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় আলীগের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করার উদ্দেশ্যে ঘর হতে ওয়াসিম খান বের হয়। এ সময় রশিদ খানের প্রথম স্ত্রীর ওই দুই সন্তান ফারুক ও বাসার ছোট সৎ মায়ের সন্তান ওয়াসিমকে প্রচারে যেতে বাঁধা প্রদান করেন।

 

কারণ, বরিশাল আইনজীবীর শিক্ষানবিশ মহাসিন খান বাশার ২২ নং ওয়ার্ডে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মিজানুর রহমান ফারুক ১৯৯৮ সালে তৎকালীন আ’লীগের নেত্রী সাজেদা চৌধুরির মিছিলে গোলাগুলি করার অপরাধে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়। পরে ফরিদপুর ৪ আসনের এমপি মোকাব্বির আহম্মেদ বিএনপির সুপারিশে চাকরি ফিরে পায়। এই কারণে তারা বিএনপি সমর্থিত হওয়ায় আলীগের সমর্থিত প্রার্থী এ্যডভোকেট মাহবুর রহমান মধু’র তালা মার্কার প্রচারণায় যেতে বাঁধা প্রদান করে। এসময় ওয়াসিম খানের সাথে মিজানুর রহমান ফারুক ও মহাসিন খান বাশারের কথার কাটাকাটি হয়।

 

এক পর্যায়ে ফারুক ও বাশার মোবাইল করে স্থানীয় ভারাটিয়া মাস্তান রুবেল মৃধা, শহিদ খান, তারিকুল ইসলাম সহিদ, সুমন খানসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন মাস্তান নিয়ে হকস্টিক, রড ও লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাথারি সৎ ওই ভাই পিটিয়ে আহত করে। পরে তার ডাকচিৎকার শুনে রিপন, রিপা, জামাল, কামাল ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে হামলাকারী ফারুক ও বাশারের আপন ছোট ভাই সাগর হোসেন মিলন ও বাবা রশিদ খান আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল কলেজ ভর্তি করেন।

 

একই সাথে ফারুক ও বাশারের বাবা ও ছোট ভাই ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাদের পরিবারে ভিতর ২২ জন সদস্য। এদের মধ্যে ফারুক ও বাশার বেপরোয়া। তারা কাউকে পরোয়া করে না। আহতেরা অভিযোগ করে আরো বলেন, তাদের হামলাকারী সৎ ভাই পুলিশের এএসআই হওয়ায় থানায় মামলা করলে পুলিশ তার কিছুই করবে না। অপর দিকে আর এক ভাই এ্যাডভোকেট হওয়ায় কোর্টে মামলা করে কিছুই করতে পারবে না বলে হুমকি প্রদান করে।

 

এমনকি, হাসপাতালে এসে সাংবাদিক কিংবা কারো কাছে অভিযোগ করলে প্রাণ হারাতে হবে বলে হুমকি প্রদান করেন তারা। সূত্রে আরো জানা যায়, হামলাকারীরা ঘটনার পরের দিন নাটকীয়ভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং আদালতে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা রজু করার পায়তারা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে মিজানুর রহমান ও ফারুক জানান, তাদের বিরুদ্ধে বাবা ও সৎ ভাইয়ের দেয়া অভিযোগ ভিত্তিহীন।

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD