মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের নাজিরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রঞ্জন হালদার (৫৫) তার স্ত্রী শিখা রানী মিস্ত্রী (৪৬) ও পুত্র শিশির হালদার (১৮) কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহতদের প্রথমে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে শিশির ও তার মা শিখাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরন করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত কাল ৯ আগস্ট সকালে উপজেলা শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন বকুলতলা এলাকায়। স্থাণীয় প্রত্যক্ষদর্শী কবিতা রানী হালদার জনান, ওই দিন সকালে স্থাণীয় রঞ্জন হালদারের সাথে একই বাড়ির দীপক হালদারের পুত্র দুলাল হালদারের গরুর গোবর ফেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে দীপক হালদার ও তার পুত্র দুলাল হালদার, রঞ্জন হালদারকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তার ছেলে শিশির ও স্ত্রী শিখা ওই মার-ধরের ঘটনায় বাধা দিতে আসলে তাদেরও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দিপক হালদার জানান, খালের ঘাটে গরুর গোবর ফেল নোর প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করা হয়েছে। তাদের লোকজনের ঠেলা-ঠেলিতে তারা আহত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভ ওঝা জানান, গুরুতর আহত শিশির ও তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানা পুলিশের কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply