শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ উপকূলের জেলে পরিবার অভাব-অনটন আর চরম হতাশার মধ্যে দিন পার করছে। হাহাকার চলছে বরগুনা জেলে পল্লীগুলোতে। বঙ্গোপসাগর ও নদীর মাছকে ঘিরেই এখানকার জেলেদের জীবন ও জীবিকার চাকা ঘুরে। এদিকে সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ, অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি। যার ফলে জেলেদের চরম দুর্দিন যাচ্ছে।
সংসারের ব্যয়ভার বহন ও মহাজনের কাছ থেকে নেয়া দাদনের (ঋণ) টাকা শোধ নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজার হাজার জেলে। আয় রোজগারহীন ভাবে দীর্ঘদিন বেকার সময় কাটানোর ফলে অনেকের ঘরের চুলায় এখন আগুন জ্বলছে না।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এ বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে সাগরে মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। জেলে শাহ আলম জানান, সরকার যে সহায়তা প্রদান করে তাতে আমাদের কিছুই হয় না। ১০ দিন ধরে বেকার হয়ে আছি। এখনই সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাকি দিনগুলো কি হবে জানি না।
পাথরঘাটা বাদুরতলা গ্রামের জামাল হোসেন বাড়ির উঠানে জাল বুনছেন আর বলছেন, কার্তিক থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত মাত্র ২২ হাজার টাকা ভাগে পাইছি, সাগরে তেমন কোনো মাছ পাওয়া যায় নাই। সরকার তো বছরে তিনবার অবরোধ দেয়। মুই এহন পোলা-মাইয়া লইয়া খুব কষ্টে দিন পার করছি।
এ প্রসঙ্গে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, বরগুনায় মোট ২৭ হাজার ২৭৭ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে প্রতিজন জেলে দুই ধাপে ৮৬ কেজি করে বিশেষ ভিজিএফ চাল পাবেন। ইতোমধ্যেই প্রথম ধাপে বিতরণের জন্য ১৫ শ’ ২৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এসেছে। অনেক ইউনিয়নে বিতরণ শেষ হয়েছে। বাকীস্থানে দ্রুত এসব চাল বিতরণ করা হবে।
Leave a Reply