মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন
চরফ্যাশন প্রতিনিধি॥ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বাল্য বিবাহ পড়ানোর অপরাধে কাজী মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন (৫০) কে ৭ মাসের কারাদন্ড কনের চাচা জয়নাল আবেদিনকে ২৫ হাজার ও বরের মামা মজিবুল হককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দন্ড প্রধান করেন । দন্ডপ্রাপ্ত কাজী মাদ্রাজ ইউনিয়নের হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক বলে যানা যায়।
কাজী মাওলানা রুহুল আমিন গতকাল বুধবার (১১মার্চ) চর আফজাল ২নং ওয়ার্ড কাদির মাস্টার বাড়িতে বেলা ৩টার সময় ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৬) কে বিয়ে পড়ান। খবর পেয়ে ওই বিয়ে বাড়িতে উপজেলা নিরর্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন নিদেশে পুলিশসহ উপজেলা শিশু ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রমিন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে পাঠালে পূর্ব খবর পেয়ে বর,কনে ও তাদের পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়। তবে বিয়ের কাজী , বর ও কনের মামা ও চাচাকে আটক করে উপজেলায় নিয়ে আসা হয়। এদিকে বুধবার রাতে দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডে এক কিশোরী মেয়েকে বাল্য বিবাহ দেওয়ার সময় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে বার্তা পেয়ে দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ ওই কনে ও তার মা এবং মামাকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভ্রাম্যমান আদালতে কনের মামা সালাউদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা নিরর্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, চর কচ্ছপিয়ার বাল্যবিবাহের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারায় কনের মামা সালাউদ্দিনকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মাদ্রাজ ইউনিয়নে বাল্য বিবাহ পড়ানোর দায়ে কাজিকে ৭মাসের কারাদন্ড ও বাল্যবিবাহের সাথে জড়িত থাকায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ধারায় কনে ও বরের স্বজনদের মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও জাল জন্ম সনদ তৈরীর অপরাধে বর আল আমিন ও বরের পিতা আবুল হাসেম মাঝি এবং কনের পিতা হারুনসহ তার স্ত্রীর বিরূদ্ধে জালিয়াতির মামলা করা হচ্ছে বলে যানান ।
Leave a Reply