শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন
মোঃ মাসুদ সরদার: বরিশালের গৌরনদী সদরে দোকান কর্মচারী হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান অদম্য মেধাবী মো. বুলবুল হোসেনের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ নাসির উদ্দিন। বুলবুল চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শত বাধা উপেক্ষা করে নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার সাফল্য জনক ফলাফলের আনন্দ কলেজে ভর্তির কথা ভাবতেই দুচোখের স্বপ্ন অন্ধকারে ঢেকে পরে। উচ্চ শিক্ষার জন্য কলেজে ভর্তির দুশ্চিন্তা পরিবারকে গভীর হতাশায় ফেলেদেন। অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেন মেধাবী বুলবুল ও তার বাবা মা।
অধ্যম বুলবুলকে নিয়ে শনিবার শীর্ষ জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদটি দৃষ্টি পরে বরিশালের গৌরনদীর কৃতি সন্তান সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সমাজ সেবক ড. মোঃ নাসির উদ্দিনের।
সাথে সাথে তিনি (ড.নাসির) বিষয়টি নিয়ে মুঠো ফোনে আলাপ করেন গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিয়ার সাথে। এ সময় তিনি মেধাবী বুলবুলের কলেজ ভর্তিসহ লেখাপড়ার দায়িত্ব দেন। এ খবর অসহায় বুলবুলের পরিবারের কাছে পৌছলে তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পরেন।
এ সময় বুলবুলের চোখ মুখে ছিল হাঁসির ঝিলিক। সম্প্রতি বুলবুলের বাবা উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বড়দুলালী গ্রামের অসুস্থ্য খলিলুর রহমান (৬৫)র চিকিৎসার জন্য অতিরিক্তি সচিব ড.নাসির উদ্দিনের পরিবার থেকে নগদ ২৫ হাজার ও অন্যান্যদের সহযোগীতায় মোট ৪০ হাজার টাকা সাহায্য প্রদান করেন।
প্রসঙ্গ, এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত দিন বিদ্যালয়ের সহপাঠিরা যখন নিজের ফলাফল শুনে বিদ্যালয়ে আনন্দ উল্লাস করছিল। ঠিক তখন গৌরনদী বাসষ্টান্ডে একটি মোবাইলেরর দোকানে আনমনে কর্মচারির কাজ কাজ করছিল বুলবুল। সে জানে না তার পরীক্ষার ফলফলা কি?।
কোন এক সহপাঠি ফলাফল জানানোর জন্য দোকানে গিয়ে বুলবুলকে খুজতে থাকে। ওই সময় মালিকের নির্দেশে পরিস্কার পরিচ্ছনাতার কাজ করছিল বুলবুল। এ সময় সহপাঠি বুলবুলের গোন্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার খবরটি দিতেই আনন্দে দোকান মালিককে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বুলবুল।
উপজেলার বড়দুলালী গ্রামের হতদরিদ্র খলিলুর রহমান (৬৫) ও মাতা আলেয়া বেগম (৪৮)র এক ছেলে ও এক মেয়ের সংসার। বাবা দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ্য । ভিটে মাটি বিক্রি করে বাবা খলিলুর রহমানের চিকিৎসা করিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে পরিবারটি। মা আলেয়া বেগম বিভিন্ন বাসায় ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালায় । সময়ে পেলে টেইলারিং ফোরনে কাজ করে কোন রকম অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটে ।
Leave a Reply