বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৫ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং তার পর থেকেই দলটির অনেক নেতাকর্মী বিচারের মুখোমুখি। বেশিরভাগই পলাতক রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের, যিনি তার ক্ষমতার সময় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচিত ছিলেন, বর্তমানে পলাতক আছেন এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
ওবায়দুল কাদেরের ক্ষমতার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে তাকে বিভিন্ন নায়িকা ও মডেলের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এসব ছবি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হলেও প্রকাশ্যে সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকেই ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে।
সর্বশেষ, ৫ আগস্ট দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর থেকে মোহাম্মদপুর এলাকায় ফোন ট্র্যাক লো্কেশন পাওয়া যায়। সেই সময়ের একটি কললিস্ট ফেসবুকে প্রকাশিত হয়, যেখানে দেখা যায়, তিনি অনেক নায়িকা ও মডেল অভিনেত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। কললিস্টে নায়িকা কেয়া, মিস বাংলাদেশ ফারজানা, অ্যানজেনা এলিনসহ বেশ কয়েকজন মডেল নায়িকার নাম ছিল। এছাড়া ময়মনসিংহের নেত্রী কবিতার সাথেও তার যোগাযোগ ছিল। একাধিকবার তার কললিস্টে সোহানা সাবা এবং প্রয়াত নায়িকা মেঘলার নামও উঠে এসেছে।
ওবায়দুল কাদেরের কললিস্ট এবং সিডিআর কপির আংশিক প্রকাশের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। তার ফোন কলের সিডিআর কপি বের হওয়ার পর থেকে নেটিজেনদের মধ্যে নানা ধরনের মন্তব্য উঠে আসে। এর আগে দেশে বিভিন্ন লোকেশনে তার অবস্থান সংক্রান্ত গুঞ্জন ছড়িয়েছিল এবং কোথাও কোথাও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অভিযানও চালিয়েছে। তবে এখনও তার সঠিক অবস্থান সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
কিছু গুঞ্জন রয়েছে যে, অন্যান্য নেতাদের মতো ওবায়দুল কাদেরও দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে থাকতে পারেন। তার ব্যবহৃত সিমের লোকেশন এবং কললিস্ট সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, তবে তার সত্যতা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে ওবায়দুল কাদের এবং তার সাথে সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে তদন্তের আহ্বান উঠেছে।
Leave a Reply