বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জ্বালানী তেলের দাম না কমালে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে পণ্য পরিবহন ও গণপরিবহন মালিক সমিতি। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন মো. মজুমদার।
তিনি বলেন, ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে আমাদের পরিবহন চালানো সম্ভব নয়। হুট করে এই ধরনের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
পরিবহন মালিক সমিতির একটি সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে ঢাকার বাইরে অনেক জায়গায় পণ্য পরিবহনের গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। আজই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে পরিবহন ধর্মঘট কার্যকর হতে যাচ্ছে।
এ দিকে, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণপরিবহন বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এ বিষয়ে এখনো সাংগঠনিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে তারা গণপরিবহন চালু রাখতে রাজি নন।
তিনি বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ইতিহাসে এর আগে কখনো এমনটি হয়নি। এখন তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির মালিকেরা জানাচ্ছেন, তারা শুক্রবার থেকে গণপরিবহন চালাবেন না। আমরা এখন পর্যন্ত ধর্মঘট বা গণপরিবহন বন্ধ রাখার বিষয়ে সাংগঠনিক কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে একটি চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। নির্ধারিত নতুন দাম অনুযায়ী ৬৫ টাকার ডিজেল বা কেরোসিন কিনতে হবে এখন ৮০ টাকায়। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে এ দাম কার্যকর হয়েছে।
সরকারের ব্যর্থতায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে যখন সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ, ঠিক সেই মুহূর্তে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো সরকারের আত্মঘাতী ও জনবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানান পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া। একই সঙ্গে তারা সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply