বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মাদারীপুরের কালকিনিতে যৌতুক না পেয়ে রাগে-ক্ষোভে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর স্পর্শকাতর স্থান রড দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এমনকি অচেতন হওয়ার পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাও করেছে সে। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসায় রক্ষা পান ভুক্তভোগী। শুক্রবার সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ফারজানা আক্তার ওই উপজেলার শিকারমঙ্গল এলাকার মৃধাকান্দি গ্রামের হারেজ মৃধার মেয়ে। বর্তমানে তিনি বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ফারজানার পরিবার জানায়, প্রায় তিন বছর আগে একই উপজেলার এনায়েতনগরের সোবহান সরদারের ছেলে আরিফ সরদারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ফারজানার। বিয়ের সময় তাকে বাবার বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার, ফার্নিচারসহ মূল্যবান অনেক কিছু দেয়া হয়। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই এক লাখ টাকা যৌতুক চায় ফারজানার স্বামী আরিফ ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় দিনের পর দিন তার ওপর চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
তারা আরো জানান, বর্তমানে ফারজানার দেড় বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। কয়েকমাস আগে তিনি ফের অন্তঃসত্ত্বা হন। সম্প্রতি বাড়ি নির্মাণের জন্য স্বামী আরিফ ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফারজানাকে বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা যৌতুক আনতে বলে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রাগে-ক্ষোভে তাকে ঘরের ভেতর আটকে রেখে স্পর্শকাতর অঙ্গ রড দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে স্বামী আরিফ। এতে অচেতন হয়ে পড়লে শ্বাসরোধ হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় রক্ষা পান ফারজানা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফারজানা আক্তার বলেন, আমার পরিবার গরীব হওয়ায় আরিফের অনেক অন্যায়-অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করেছি। আরিফ ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে শেষ করে দিয়েছে। লজ্জা আর ভয়ে এতদিন কাউকে জানাইনি। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
অভিযুক্ত আরিফের বাবা সোবহান সরদার বলেন, ফারজানাকে মারধর করার পর আমরা চিকিৎসা করিয়েছি। এগুলো আমাদের পারিবারিক বিষয়, বাইরের মানুষের জানা উচিত নয়।
কালকিনি থানার ওসি মো. নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply