সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ চার দলীয় জোট সরকারের আমলে পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর-নেছারাবাদ ও নাজিরপুর) আসনের এমপি ছিলেন যুদ্ধাপরাধে কারাদণ্ডিত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। জামায়াতপ্রীতির কারণেই এ আসনে নিজেদের কোনো প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। এরপর থেকেই জেলায় বিএনপির রাজনীতিতে ভাটা পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে চার দলীয় জোটের প্রার্থী ঘোষণা করা হয় সাঈদীকে। তখন থেকেই আস্থা হারাতে থাকে তৃণমূলের কর্মীরা। সবাই চেয়েছিলো দলীয় রাজনীতিতে জড়িত এমন কাউকে যেন প্রার্থী করা হয়। কিন্তু তৃণমূলের কর্মীদের দাবি উপেক্ষা করে হাইকমান্ড। তাই একদিকে কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন অন্যদিকে মনোবলও ভেঙে যায়।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদীর আমরা বিরোধিতা করেছি। কারণ হলো, এ আসনে সাঈদীপুত্রের কোনো অবদান ছিলো না। আমরা এর আগে সাঈদীরও বিরোধিতা করেছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, আদর্শের দিক থেকে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব অনেক। এ কারণেও দলটির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে। এছাড়া জামায়াতের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে যেসব আসন বিএনপি ছেড়ে দিয়েছিলো সেসব আসন এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি। বিএনপির নেতাকর্মীরাও এ রাজনীতি পছন্দ করে না। তাই এখন থেকে কর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়াতে নতুনভাবে কাজ করতে হবে বিএনপির।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি গাজী নুরুজ্জামান বাবুল বলেন, জামায়াত মৌলবাদি ও ধর্মান্ধ গ্রুপের রাজনীতি করে। তাদের রাজনীতিতে সাধারণ মানুষও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তাই এখন আর আগের মতো পিরোজপুরে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। তাদের সঙ্গে সবারই দূরত্ব বাড়ছে। আমরাও সরে এসেছি। নতুন প্রজন্মকে বিএনপির রাজনীতিতে ফিরে আনার চেষ্টা করছি।
Leave a Reply