মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনরিধি॥ ভোলার বোরহানউদ্দিনে চাল-পেঁয়াজের বাজার হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে উঠেছে। আড়তদাররা বলছেন মোকামে দাম বেশী অপরদিকে খুচরা বিক্রেতারা জানাচ্ছেন আড়তে পাইকারী দোকানে দাম বেশী। বিশেষ করে মোটা চালের দাম অধিক হাওে বেড়ে যাওয়ায় নি¤œ আয়ের মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। তবে সরকারী দপ্তর বলছে দাম বৃদ্ধিও কোন কারণ নেই। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা করছেন। অবিলম্ভে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার বোরহানউদ্দিন পৌর শহরের চালের মীর ট্রেডার্সের আড়তদার সিদ্দিক মীর জানান, গত এক সপ্তাহেরও কম সময়ে মোটা চাল(স্বর্ণা) ৫০ কেজির বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে ৫ শত টাকা, আঠাশ চালের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৩ শত টাকা। তবে মিনিকেট চালের দাম স্থিতিশীল আছে। একই রকম উত্তর দিলেন চাল আড়তদার জননী ট্রেডার্সের সিরাজ রিপন, নাজিমউদ্দিন ট্রেডার্সের আব্দুল মালেক। তারা জানান, গত সপ্তাহে মোটা(স্বর্ণা) চালের দাম ছিল বস্তাপ্রতি ১৫৫০ থেকে ১৬০০ টাকা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ২০৫০ টাকা। আঠাশ চালের দাম ছিল ১৮৫০ থেকে ১৯০০ টাকা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২১৫০ থেকে ২২০০ টাকা। তারা জানান, চালের মিল ও আড়তে দাম বাড়ার কারণে বাজারের এ অবস্থা।
এদিকে বুধবারও যেখানে পেঁয়াজের খুঁচরা মূল্য ছিল ৪০ টাকা সে পেঁয়াজ বৃহস্পতিবার ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পৌর শহরের কাঁচা বাজারের আড়তদার মেসার্স শারমিন স্টোর ও জনতা ট্রেডার্সে কোন পেঁয়াজ পাওয়া যায়নি। মেসার্স শারমিন স্টোরের ম্যানেজার মুকেশ চন্দ্র বেপারী ও জনতা ট্রেডার্সের নিরব হোসেন জানান, ভারত সীমান্ত থেকে পিঁয়াজের গাড়ি আসছেনা।
এছাড়া ঢাকার বাজারে পাইকারি ৫০ টাকা কেজি দর হওয়ায় তাঁরা আপাতত পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। অপরদিকে সততা ট্রেডার্সের মো. রফিক জানান, বৃহস্পতিবারের বাজারে তারা মোকাম থেকে ৪১ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ এনে পাইকারী ৪৫ টাকায় বিক্রি করেছেন। তবে খুচরা বিক্রেতা জননী স্টোরের মো. খোকন জানান, ওই আড়ত থেকে তারা ৬০ টাকা পাইকারী দরে পিঁয়াজ কিনেছেন।
আরেক খুচরা বিক্রেতা শাহে আলম স্টোরের শাহে আলম জানান, সততা স্টোর থেকে তিনি ৫০ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ কিনে খুঁচরা ৫৫ টাকায় বিক্রি করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, চালের পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের মূল্য বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের কারসাজী। বিষয়টি মনিটরিং করে দেখা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) মো. বশির গাজী জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply