সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ মঠবাড়িয়ায় স্বামীর দাবিকৃত যৌতুকের ১০ লাখ টাকা দিতে না পারায় হোমিও চিকিৎসক স্ত্রী আসমা আক্তারকে (৩৩) নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে হারুন হাওলাদার (৪৫) নামে এক পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আসমা আক্তার বাদী হয়ে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মঠবাড়িয়া থানায় স্বামী, দেবর, ননদ ও শ্বশুরকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন । মামলা সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের পূর্ব লেন সবুজ নগর এলাকার আ. রহমান তালুকদারের মেয়ে আসমা আক্তারের সাথে প্রায় ১৭ বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী ভান্ডারিয়া থানার হরিণপালা গ্রামের মকবুল হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঔরসে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে কন্যা সন্তানটির বয়স ১৩ বছর। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই দেবর, ননদ ও শ্বশুরের প্ররোচণায় স্বামী হারুন হাওলাদার স্ত্রীর কাছে ব্যবসার কথা বলে বাবা-মায়ের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে আসতে বলে। যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে প্রায়ই স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো। এরই জের ধরে বুধবার সকালে হারুন হাওলাদার তুষখালী বাসন্ট্যান্ড সংলগ্ন স্ত্রীর ঐশি হোমিও হলে গিয়ে পুনরায় দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে হারুন হাওলাদার ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। এ সময় আসমার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসমা আক্তার জানান, যৌতুকের দাবিতে তার স্বামী প্রায়ই তাকে নির্যাতন করত। কিন্তু একমাত্র মেয়ের কথা মাথায় রেখে তিনি সব নির্যাতন নীরবে সয়ে গেছেন। শুধু নির্যাতন নয়, টাকা এনে না দিলে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ারও হুমকি দেয় স্বামী হারুন হাওলাদার।
ভুক্তভোগীর ভাই আরিফ তালুকদার বলেন, যৌতুকের দাবিতে এর আগেও আমার বোনের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। কিন্তু এবার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমার বোনের সঙ্গে বিয়ের আগে হারুন হাওলাদার আরও একটি বিয়ে করেছিল। সেখানেও যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ হয়। মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল হক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply