সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার তজুমদ্দিনের চর জহির উদ্দিনের বর্ডার ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী (আড়তদার) মো. ইউনুছ সর্দারের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী লিখন পাটারী। এই ঘটনায় দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ব্যবসায়ী ইউনুছ সর্দারের প্রায় আড়াই লাখ টাকার মূল্যের এক ঝুড়ি মাছ ছিনতাই করে নিয়ে যায় লিখন বাহিনী।
এই ঘটনায় তজুমদ্দিনের চর জহির উদ্দিন ফাঁড়িতে অভিযোগ করা হয়েছে। গত ১৩ আগস্ট দৌলতখান ঘাটে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরে মাছ ছিনতাই এর আতঙ্কে পুরো চর জহির উদ্দিনের মৎস্য ঘাটে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঢাকার মোকামের জন্য মাছ পাঠাতে তারা এখন পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আশ্রয় খুজঁছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী ইউনুছ সর্দার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি চর জহির উদ্দিনের তেলির চর বর্ডার ঘাট এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্য আড়তদারির ব্যবসা করে আসছিল।
কিন্তু স্থানীয় লিখন পাটারী জোর করে আমার ব্যবসার সাথে পার্টনার হতে চায়। আমি তাকে আমার ব্যবসার অংশীদার না করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার দোকানের সামনে তার বাবার নামে ফ্লাগ লাগিয়ে দেয়। পরে আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
সেই টাকা আমি না দেওয়ায় আমার এক ঝুড়ি প্রায় আড়াই লাখ টাকার মাছ ঢাকার মোকামের জন্য দৌলতখান ঘাট পাঠায় বসু মাঝির ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে। সেই ট্রলারে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকে লিখন।
মাছের ঝুড়ি দৌলতখান ঘাটে পৌঁছালে আমার ছেলে সিরাজকে মারধরকে করে নিজের মাছ দাবি করে লিখন ও তার সহযোগী রাইহান, শহীদ, পাটারী, রাফসানসহ আরও কয়েক জন মিলে আমার মাছের ঝুড়ি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় নৌকার মাঝি বসু মাঝি মাছ রক্ষার জন্য এগিয়ে আসলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মাছ নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় দৌলতখান থানায় বিষয়টি অবহিত করা হয়ে বলে জানান।
এ দিকে ব্যবসায়ী লিখনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পর থেকে পুরো চর জহির উদ্দিনের মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
Leave a Reply