সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
মজিবর রহমান নাহিদ ॥ বরিশাল নগরীর লঞ্চঘাট টু বেলতলা রুটের হলুদ অটো রিকসা চালকদের খামখেয়ালিপনার কারনে দীর্ঘদিন কোনঠাসায় রয়েছেন এসব এলাকার যাত্রীরা। ধারন ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা এসব বাহনের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লঞ্চঘাট টু বেলতলা রুটে প্রায় কয়েকশ অটোরিকসা চলাচল করে। রিকসার চেয়ে ভাড়া তুলনামূলক কম হওয়ার সাধারন মানুষ এই বাহনেই বেশি যাতায়াত করেন।
আর তাদের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অধিকমুনফা লাভের আশার চালকরা চলাচল করছেন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে। সাধারনত এই অটো রিকসায় ৫জন কোনমতে বসতে পারে কিন্তু ৫জনের স্থানে বসানো হচ্ছে ৮জনকে। বিভিন্ন সময়ে সচেতন যাত্রীরা এর প্রতিবাদ করলে পরতে হয় চালকদের রোষানলে।
একাধিক যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন,‘রিকসা কিংবা অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে ভাড়া একটু কম হওয়ায় আমরা অটোরিকসায় চলাচল করি। কিন্তু চালকরা জোড়পূর্বক ৫জনের জায়গায় ৮জন বসায়। আমরা এর প্রতিবাদ করলে আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। প্রায় সব গাড়িতেই ঘটে এমন ঘটনা।রেশমি বেগম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘এমনিতেই অটোরিকসায় জায়গা খুব কম, তার উপর যদি ৭/৮ জন বসানো হয় তাহলে আমাদের গাদাগাদি করে বসতে খুব সমস্যা হয়। গাড়িতে মহিলা থাকলেও ওরা ওদের খেয়াল-খুশি মতো যাত্রী নেয়। এরা সঠিক নিয়মে গাড়ি চালালে আমাদের মতো সাধারন মানুষদের খুব উপকার হয়।অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার ফলে প্রতিদিন ঘটছে দূর্ঘটনা।
৫নং ওয়ার্ড পলাশপুল এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘অটো রিকসায় খুব সহজে চলাচল করা যায় ঠিক আছে কিন্তু এতে অনেক সমস্যাও আছে। এই যে বেশি যাত্রী নিয়া এরা চলাচল করে এর ফলে মাঝে মধ্যে দেহা যায় এহানো ওহানে কাইত হইয়া গাড়ি পইরা যায়। আর ওরা গাড়ি যেমনে টানে, যাত্রীগো মনে হয় মানুষ বইলা মনে করেনা ওরা।কসাইখান এলাকায় এই অটোর ধাক্কা পাঁচ বছর বয়সি এক মাদ্রাসা ছাত্র মারা গেছিলো। হেরপরেও ওগো হুশ হয়নাই। এদিকে এ রুটে রয়েছে অসংখ্য অদক্ষ অটো রিকসা ড্রাইভার। কোন নিয়ম নীতিকে তেয়াক্কা না করে গাড়ি চালাচ্ছেন এরা।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) এসি মাসুদ রানা বলেন,‘ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে।লঞ্চঘাট টু বেলতলা রুটের বিষয়টি আমাদের নজরে ছিলোনা।অটোরিকসায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচলের কোন সুযোগ নেই।অটো চালকদের এসব অনিময় বন্ধে তাদের অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানায় এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply