সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ সাঈদীপুত্রের কারণেই পিরোজপুরে রাজনীতির মাঠে খেই হারিয়ে ফেলছে বিএনপি। কেউ কেউ দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। কেউবা আবার সাংসারিক হওয়ার চেষ্টা করছেন আবার কেউ দলের উল্টো পাল্টা রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েছেন। সব মিলিয়ে পিরোজপুরে বিএনপির রাজনীতি এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর সদর আসনে মনোনয়ন পান যুদ্ধাপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীপুত্র শামিম বিন সাঈদী। পিরোজপুর ২ আসনের ভোটার হলেও তাকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় পিরোজপুর ১ আসনে।
মাঠপর্যায়ের সাধারণ নেতাকর্মী, ভোটার এবং সাধারণ মানুষের মতামত উপেক্ষা করে বিএনপি দলীয় প্রার্থী না দেওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। খোদ ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল জামায়াত হলেও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ও বিপক্ষের শক্তি বলে পিরোজপুর বিএনপিতে ২টি ধারা একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
তবে পিরোজপুর বিএনপিতে ক্ষোভের ঝড় উঠে আরো আগে থেকেই। চার দলীয় জোটের আমলে সদর আসনের এমপি ছিলেন সাঈদী। কিন্তু ২০০৪ সালে ১১ জুন পিরোজপুর পৌরসভা নির্বাচনে তৎকালীন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল আলম নিরু চেয়ারম্যান প্রার্থী হলে তার পক্ষে কাজ করেনি জামায়াত। ফলে নির্বাচনে হেরে যায় নীরু। আর তখন থেকেই জেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব শুরু হয়। এমনকি স্থানীয় টাউন স্কুল মাঠে ওই নির্বাচনের শেষ জনসভায় স্বয়ং দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা বিএনপি প্রার্থীর বিপক্ষে যায়।
বিএনপি নেতা মেজর (অব.) ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বলেন, জামায়াত কখনো মানুষের জন্য রাজনীতি করে না। তাদের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক ফায়দা লোটা। যে কারণে সাধারণ মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ২০০৭ সালের পর জামায়াত কোনোদিন দল হিসেবে পিরোজপুরে বিএনপি কিংবা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। পিরোজপুরে তাদের কোন সাংগঠনিক ভিত্তিও নেই।
Leave a Reply