শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শরীরে হকিষ্টিকের আঘাত। এমন অমানবিক নির্যাতনে কাহিল গৃহবধু নাসরিন বেগম এখন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। যৌতুক না দেয়ায় এই করুণ পরিনতি ওই গৃহবধুর। যদিও ওই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুুতি চলেছ বলে জানান আহত পরিবার।গত সোমববার (৯জুলাই)খুলনা বিভাগের সোনাডাঙ্গা জেলার ২৪নং ওয়ার্ডের করিম নগর এলাকায় অমানবিক ঘটনা ঘটে।সরজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বেডে দুই বছরের শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে কাঁদছেন মা নাসরিন। বারবার সন্তানের দিকে চেয়ে থাকছেন, আদর করছেন।জানা গেছে, দিন মজুর নান্নু মোল্লামেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন খুলনা বিভাগের সোনাডাঙ্গা থানার ২৪নং ওয়ার্ডের করিম নগর এলাকার স্থানীয় খবির হাওলাদারে পুত্র সুমন এর সাথে । সুমন হাওলাদার ইউসি ব্যাংক’র এম এল এস এস পদে চাকরি করেন ।
বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ তাকে মালামাল দেয়া হয়েছিলে জামাইকে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আরো যৌতুকের জন্য চাপ দেয়া হয় নাসরিনের ওপর। মাঝে মধ্যে চলত নির্যাতন। তাদের ঘরে আছে৪ মেয়েও দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান।নির্যাতনের শিকার গৃহবধু নাসরিন বেগম জানান, সোমবার(৯জুলাই) রাতে আরো ২ লাখ টাকার জন্য বাবার বাড়িতে যেতে বলে।কিন্তু টাকা আনতে না যাওয়ায় পরদিন সকাল ৮ টার দিকে স্বামী সুমন ও তার পরিবারের লোকজন আমার ওপর চড়াও হয়। চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। শরীরে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।খবর পেয়ে বরিশাল থেকে ফুফু মাহামুদা বেগম তাকে উদ্দার করে বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি করেন ।
আমি এই নির্যাতনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই, মেয়ের প্রতি মধ্যযুগীয় নির্যাতন দেখে মনে দারুন কষ্ট পেয়েছেন। এর সঠিক বিচার দাবী করেছেন নির্যাতিত গৃহবধুর পিতা নান্নু মোল্লা ও মাতা শাহানাজ বেগম।আহত নাসরিনের বাড়ি বরিশাল নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডের ধান গবেষনা রোড এলাকায়।বরিশাল শেবাচিম’র কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, নাসরিনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
Leave a Reply