শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বরিশালের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগরকে পর্যটদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বরিশাল জেলা প্রশাসন বহুমূখী প্রকল্প হতে নিয়েছে। এরই মধ্যে আরো দৃষ্টি নন্দন করতে হরিণ, কবুতর, পানিতে রাজহাঁস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দর্শনাথীদের বিনোদনের জন্য দিঘিতে রাখা হয়েছে প্যাডেল বোট, ভাসমানঘরসহ নানামূখী উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ এগিয়ে চলছে। ১৫০ বছরের ঐতিহ্য দুর্গাসাগরে পর্যটক আকর্ষণীয় করতে জেলা প্রশাসন দুর্গাসাগরের টিলায় যাতায়াতের জন্য দীঘির দক্ষিণ পাড় দিয়ে প্রায় ৮০০ ফুট কাঠের ঝুলন্ত সেতু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে এমন সংবাদে ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন বরিশালের পরিবেশবাদীরা। পরিবেশবাদীরা বলছেন, সেতু নির্মাণের ফলে মাঝের টিলায় আসা অতিথি পাখির অভয় অরণ্য বিলিন হয়ে যাবে। এমনকি হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এখানকার প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র।
ঝুলন্ত সেতুর খবরে বরিশালের পরিবেশবাদী সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল রবিবার সরেজমিনে দুর্গাসাগর পরিদর্শনে যায়। এখানের ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন’র জেলা সমন্বয়ক কাজী মিজানুর রহমান ফিরোজ, জাসদের জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুদল হাই মাহবুব, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি নজরুল হক নিলু, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশাল জেলা সভাপতি রণজিৎ দত্ত, সমন্বিত সামাজিক আন্দোলনের জেলা সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক সুভংকর চক্রবর্তী।
পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক কাজী মিজানুর রহমান ফিরোজ বলেন, দুর্গাসাগরের মাঝখানে দ্বীপটির সঙ্গে সংযোগ সেতু নির্মাণ হলে এখানকার আগত অতিথি পাখির বিচরণ বিনষ্ট হবে। সবজু প্রকৃতি হবে ধ্বংস, টিলার মাঝে সবুজ প্রকৃতি উজার করে প্রাণীকূলের মুক্তচলাচলে বাধাঁগ্রস্ত করার ফলে পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, দুর্গাসাগরে পর্যটক আকৃষ্ট করতে ব্যাপক উন্নয়ন করায় এখন সাধারণ মানুষ ওখানে আসছেন। দর্শনার্থী টানতেই দীঘির দ্বীপের সঙ্গে সংযোগ করার জন্য কাঠের ব্রিজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানুষ না চাইলে ব্রিজ করা হবে না।
Leave a Reply