সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কে.এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনার অব্যবস্থাপনা, আর্থিক দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষক-কর্মচারীদের স্কুল প্রদেয় ভাতাদি গত ২০ মাস ধরে স্থগিত রাখার অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ ২০ জন শিক্ষক আজ শনিবার দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্তরায় এ সংবাদ সম্মেলন সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ ২২ টি অভিযোগ আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান সহ ২০ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন ।
অভিযোগে বলেন, প্রধান শিক্ষক ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী যোগদান করার পর থেকে সহকারী শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানী ও অসৌজন্য মূলক আচরন করছেন । গত ২০ মাস ধরে শিক্ষদের স্কুল প্রদেয় বেতন- ভাতাদি বন্ধ করে রেখেছেন। বর্তমান করোনা কালে শিক্ষকরা বিদ্যালয় হতে ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অভিযোগে আরও বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় থেকে অনুদান ২ লাখ টাকা, একটি বেসরকারি সংস্থার সম্মেলন খরচ বাবদ ৬০ হাজার, ম্যাগাজিন প্রকাশ ৩ লাখ ২১ হাজার, বিদ্যালয়ের মার্কেটে ৬৫০ টি দোকান বরাদ্ধ বাবদ স্টল প্রতি ২ লক্ষ টাকাসহ ভ’য়া বিলভাউচার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের অন্যান্য আয় সহ ফান্ডে আনুমানিক ১০ কোটি টাকা গচ্ছিত থাকার কথা। যা এখন শুন্যের কোঠায়।
বিদ্যালয়য়ে নেটিজেন নামে একটি আইটি প্রতিষ্ঠানকে লাখ লাখ টাকা প্রদানের বিল ভাউচার হলেও পূর্ণাঙ্গ সুবিধা মেলেনি। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০০ শত টাকা করে আদায় করছেন। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্রাবাসটি বন্ধ করে অর্ধ কোটি টাকা ব্যায়ে বিলাসবহুল বাসস্থান নির্মাণ করেন । ফলে বিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্রাবাসটি চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয় ফান্ড হতে প্রতিমাসে ১৯ হাজার ৩৪৫ টাকা নেন অথচ এমপিও ভুক্ত শিক্ষকরা যোগদানের সময় মাত্র ৫০০ টাকা পান। তিনি বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা খান সাহেব হাতেম আলীকে স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দিয়ে চরম অপমান ও অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অমল চন্দ্র হালদার, বর্তমান সহকারী শিক্ষক মোঃ নুর হোসেন ও মোঃ এনামুল হক।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের অর্থ খরচ আমার একার আওতাভুক্ত নয়। সকল খরচের ভাউচার সংরক্ষিত আছে।
Leave a Reply