শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ প্রমত্তা পায়রার অব্যাহত ভাঙনে বরগুনার আমতলী উপজেলার ৬ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ তাদের বসতবাড়ি, কৃষি জমি হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি ওই নদীতে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন তীব্রতর হয়েছে। এতে আমতলী উপজেলার বালিয়াতলী ও বৈঠাকাটাসহ মোট ৬ গ্রামের মানুষ নদীর তীরে দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
সরজমিন দেখা গেছে, আমতলী উপজেলার বালিয়াতলী ও বৈঠাকাটা গ্রামের ১০ হাজার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে আছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর নদী-তীরবর্তী এসব এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নামমাত্র সংস্কার হওয়ায় বর্ষা এলেই ভাঙন তীব্র হয় এবং ঘরবাড়ি, কৃষিজমিসহ লোকালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়। এসব এলাকার কমপক্ষে ৩ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে বরগুনা, বরিশাল ও ঢাকায় চলে গেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। জেলে আল আমিন বলেন, ‘আমার বাড়িঘর সব জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এ আশ্রয়টুকু হারিয়ে গেলে পরিবার নিয়ে কোথায় দাঁড়াবো?’ আমতলীর উপজেলার বালিয়াতলী গ্রামের প্রায় ৫০০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নড়বড়ে হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, রোয়ানুসহ একাধিক দুর্যোগের সময় ভাঙনে পড়ে বালিয়াতলী গ্রামটি এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন। এই গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক বাসিন্দা বাড়ি, কৃষিজমি হারিয়ে এখন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
একই অবস্থা বৈঠাকাটা গ্রামের। পায়রার ভাঙনে কয়েকশ’ গ্রামবাসী জমি হারিয়ে এখন পথে বসেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব স্থানে রিং-বাঁধ নির্মাণ করলেও তা এখন ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনার প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, কংক্রিটের ব্লক ফেলে আমতলীর বৈঠাকাটা ও বালিয়াতলী গ্রামের ভাঙন রোধের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
Leave a Reply