সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ নানীশাশুড়ির কুলখানীতে মিষ্টি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বরগুনার আমতলীতে দুই ভায়েরা জামাল গাজী ও সোহেল মিয়ার মারামারিতে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছে। আহতদের আমতলী ও পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে আটক ও তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা গ্রামের মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা গ্রামের বেলায়েত গাজীর পুত্র জামাল গাজী ও একই ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামের সফেজ মিয়ার পুত্র সোহেল মিয়ার সাথে পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালী সদর উপজেলার তিতকাটা গ্রামের মো. তোফাত খানের দুই মেয়ের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ১৭ অক্টোবর তাদের নানীশাশুড়ির কুলখানীতে অংশ নিয়ে ভায়েরা সোহেল মিয়া ১৫ কেজি মিষ্টি দেন। অপর ভায়েরা জামাল কোনো মিষ্টি দেননি। এই মিষ্টি দেওয়া না দেওয়া নিয়ে সেদিন দুই ভায়েরার মধ্যে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় সোহেল মিয়া তার ভায়েরা জামাল গাজীকে দেখিয়ে দেওয়ার হমকি দেন।
সেই দিনের ঘটনার রেশ ধরে আজ দুপুরে ভায়েরা সোহেল মিয়া বরগুনা জেলা শহর থেকে ভাড়া করে সন্ত্রাসী বাহিনী এনে লাঠিসোটা নিয়ে ভায়েরা জামাল গাজীর বাড়িতে হামলা চালাতে যায়। এ সংবাদে ভায়েরা জামাল গাজী তার স্বজন ও স্থানীয়দের ডালাচারা মাদরাসার সামনে জড়ো করে। এ সময় স্থানীয়রা ভাড়ায় আনা সন্ত্রাসী বাহিনীকে ধাওয়া করলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মাইনুদ্দিন নামের একজনকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাব্বির খান (১৮), জলিল গাজী (২৪), শওকত ইয়ামিন প্যাদা (২০), হাবিবুর রহমান খান (১৯), জাকির খান (৩৫), জামাল গাজী (২৬) ও রিপন খানসহ (২৪) সাত জনকে আটক করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সাহাদত হোসেন বলেন, মিজানুর রহমানের পা ভেঙে যাওয়ায় ও লিটননের মাথায় গুরুত্বর আঘাত থাকায় তাদের দুইজনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীরা আমতলী হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহআলম হাওলাদার বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাবাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply