বরগুনায় বিদ্যালয় মেরামত প্রকল্পের টাকা লোপাট! Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




বরগুনায় বিদ্যালয় মেরামত প্রকল্পের টাকা লোপাট!

বরগুনায় বিদ্যালয় মেরামত প্রকল্পের টাকা লোপাট!

বরগুনায় বিদ্যালয় মেরামত প্রকল্পের টাকা লোপাট!




বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার বেতাগীতে ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেরামতর প্রকল্পের নামে ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুই একটি বিদ্যালয়ের সীমিত পরিসরে কাজ হলেও কোনো কোনো বিদ্যালয়ে নামে মাত্র রং তুলির ছোঁয়ায় কাজ করা হয়েছে। বাকি ৭৫ শতাংশ কাজের অর্থ লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বেতাগী উপজেলায় ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাদ ঢালাই, পানির লাইন সরবরাহ, বারান্দায় গ্রিল, রঙের কাজ, দরজা-জানালা মেরামত, আসবাসপত্র ক্রয়সহ আলাদা আলাদাভাবে ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া কথা। কিন্তু অথ অর্থ বরাদ্দ না থাকায় কাজিরাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উত্তর কাজিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামত প্রকল্প থেকে বাদ পড়ে। অবশেষে ৮টি বিদ্যালয়ের নামে ৭ লাখ টাকা করে মোট ৫৬ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দেয় এলজিইডি।

 

 

এদিকে পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বেতাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম তালিকায় ভুল থাকায় অর্থ বরাদ্দ থেকে বাদ পরে। অবশেষে উত্তর বেতাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

 

 

কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী যথা সময় এলজিএডি কর্তৃপক্ষ দরপত্রের আহ্বান করেন। এসব বিদ্যালয়ের মেরামতের কাজ পায় বরগুনার কয়েকটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

 

 

 

জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারীগণ ও এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে নামমাত্র কাজ করে অর্থ আত্মসাতের পায়তারা চলছে।

 

 

তবে বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে তারা বলেন, এখানে তাদের কোনো ধরনের দায়িত্ব নেই। শুধুমাত্র কাজ পর্যবেক্ষনের জন্য একটি তদরকি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো বাকি সবকিছু শিক্ষা অফিস করছেন।

 

 

অপরদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছে, দরপত্রের প্রাক্কলনে অর্থ বরাদ্দ অনুযায়ী শতভাগ কাজ করার চেষ্টা করেছি।

 

 

সরেজমিনে গেলে দেখা গেছে , দুই একটি বিদ্যালয়ে নামে মাত্র কাজ হয়েছে। বাকি কাজ না করেই পুকুর চুরির পায়তারা করা হচ্ছে। এলজিইডি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের যোগসাজসে অর্থ আত্মসাত করা হচ্ছে।

 

 

এ ব্যাপারে বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কাজে অনিয়ম হয়েছে এটি সত্য। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই সবকিছু এলজিইডির দায়িত্ব। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বরাবর আংশিক কাজ হয়েছে বলে আমার স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়ন প্রেরণ করেছি।’

 

 

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার বলেন, ‘সম্পূর্ণ কাজ না করে বিল উত্তোলন করার কোনো সুযোগ নেই।’

 

 

বেতাগী উপলো নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করেছি, কাজে অনিয়ম হলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD