শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
তালতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে পরকীয়া প্রেমিকাসহ মো: হাসান নামে এক মোটরসাইকেল চালককে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় প্রথম স্ত্রী অজুফা বেগমের সম্মতিতে হাসানের সাথে বিয়ে দেয়া হয় পরকীয়া প্রেমিকা ফাতিমা আক্তারের (২৮)।
সোমবার (২৮) ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে তালতলী থানা চত্বরে সামনের একটি চায়ের দোকানে বসে পরকীয়া প্রেমিকা ফাতিমার সাথে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয় হাসানের। একই সাথে বড় বউ অজুফা বেগমের সাথেও তার দাবি অনুযায়ী আড়াই লাখ টাকার কাবিনে নতুন করে হাসানের বিয়ে পড়ান কাজী মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ।
হাসান উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের বড় অংকুজান পাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। জানা যায়, অজুফা বেগমের সাথে বিয়ের পর থেকেই পরকীয়া প্রেমে আসক্ত ছিলেন হাসান। এ নিয়ে পরিবারিক কলহ চলছিল। এরইমধ্যে সোমবার সকালে পরকীয়া প্রেমিকা ফাতিমার সাথে দেখা করতে গেলে স্থানীয়রা প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
হাসানের বড় বউ অজুফা বেগম বলেন, স্বামীকে বাঁচাতে নিরুপায় হয়ে এই বিয়েতে রাজি হয়েছি।
হাসান বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমাকে ডেকেছে ফাতিমা। দেখা করতে গেলে লোকজন জড়ো হয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে আমাকে। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে ফাতেমাকে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করি। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রী অজুফা বেগমকেও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা কাবিন দিতে হয়।
তালতলী থানার তদন্ত (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় লোকজন হাসান ও পরকীয়া প্রেমিকাকে আটক করে পুলিশ খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে উভয় পরিবারের লোকজনের কাছে তাদের জিম্মা দেয়া হয়। হাসানের বর্তমান বউ অজুফা বেগমের সাথে নতুন করে আড়াই লাখ টাকার কাবিন হয় ও প্রেমিকা ফাতিমা আক্তারের সাথে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়।
Leave a Reply