সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার পাথরঘাটা-বরিশাল আঞ্চলিক সড়কের নির্মাণ কাজে অনিয়ম করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বরগুনা-২ সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন। এসময় স্থানীয়রা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. মাসুম ও বরগুনা সড়ক ও জনপথের (সওজ) সেকশন অফিসার তাইজুল ইসলামকে ঝাড়ুপেটা ও চড় থাপ্পর দেন। সোমবার দুপুর ২টার দিকে পাথরঘাটা-বরিশাল মহাসড়কের সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের কাজী বাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, রায়হানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রুপক, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ। এর আগে সংসদ সদস্য রিমন পাথরঘাটা বেড়িবাধে স্লুইজের কাজ পরিদর্শন শেষে পাথরঘাটা পৌর শহরে আসার পথে সড়কের কাজে অনিয়ম দেখায় কাজ বন্ধ করে দেন।
জানা যায়, পাথরঘাটা-বরিশাল আঞ্চলিক সড়কে পাথরঘাটা থেকে কেরামতপুর ১১ কিলোমিটার সড়কে নির্মাণের কাজ চলছে। এতে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। একাজ তমা কন্সট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার আবু হানিফ নামে একটি প্রতিষ্ঠান সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজ করছে। ওই কাজে সিলেট স্যান্ড ও টোক বালু (মোটা দানার বালু) দেওয়ার কথা থাকলেও ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা ব্যবহার না করে স্থানীয় নদীর পলি মাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহার করে।
এই ঘটনায় সংসদ সদস্য রিমন কর্মরত কর্মকর্তা মাসুমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোতো সদুত্তর দিতে পারেননি, পরে বরগুনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের সেকশন অফিসার তাইজুল ইসলাম আসার পরে তাকে কাজে অনিয়মের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও কোনো সদুত্তোর দিতে পারেননি। পরে উৎসুক জনতা প্রথমে থাপ্পর পরে ঝাড়ু দিয়ে পিটায়।
সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পাথরঘাটা-বরিশাল সড়কে ১৮ কোটি টাকায় ১১ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ চলমান। একাজে শিডিউল মোতাবেক উন্নত মানের বালু দেওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় পলিমাটি মিশ্রিত বালু দিয়ে কাজ করছে তমা কন্সট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া ব্যবহৃত পাথর নিম্নমানের হওয়াতে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অনেক কষ্ট করে সরকারের কাছ থেকে কাজ আনা হয়েছে, একাজে এতো দুর্নীতি আর ফাঁকিবাজি হলে কয়েকমাস যেতেই আবারো কাজ করাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি সহ্য করবেন না। আমিও এই দুর্নীতি সহ্য করবো না। এজন্যই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয় সাব ঠিকাদার মো. আবু হানিফ মুঠোফোনে বলেন, আমরা শিডিউল মোতাবেক উন্নত মানের বালুসহ উপকরণ সঠিকভাবেই ব্যবহার করি। আমরা কোনো অনিয়ম করছি না।
Leave a Reply