রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: হাড় কাঁপানো শীতে অনেকটাই বিপর্যস্ত বরিশালের জনজীবন। কর্মব্যস্ত নগরজীবনও যেন থমকে যাচ্ছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হতে চাচ্ছে না, ফলে নগরে নিত্যদিনের যানজটও তেমনভাবে ছিলো না। আর তীব্র শীতে বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে সবথেকে বেশি বিপাকে, পেটের দায়ে কাজে নামতে হচ্ছে তাদের। যদিও ফুটপাতসহ বিপণী বিতানগুলোতেও শীতের পোশাক বিক্রির চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই।
শীতের এমন অবস্থা আগামী কয়েক দিন থাকার পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস প্রধান বশির আহমেদ জানিয়েছেন, গত রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সূর্য উঁকি দেওয়ার পর থেকে তাপমাত্রা বেড়ে ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। গত রোববার সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ১০ দশমিক ৭ ও আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বশির আহমেদ জানান, তীব্র শীতের কারণে বরিশালসহ আশপাশের এলাকায় দুপুর পর্যন্ত এমনকি সারা দিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। আগামী ৩-৪ দিন পর বৃষ্টিসহ বজ্র বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত ১ সপ্তাহ ধরে বিভাগ জুড়ে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ১ মাসে বিভাগের ৬ জেলায় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৯৩ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর গেল ৭ দিনেই ভর্তি হয়েছেন ৪৩২ জন।
অপরদিকে গত ১ মাসে বিভাগের ৬ জেলায় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩ হাজার ৬২৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর মধ্যে গেল ৭ দিনেই ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১৫৩ জন। আর চলতি মাসের ১৪ দিনে প্রায় ৪ হাজার রোগী শীতকালীন নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভাগের ৬ জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোর দ্বারস্থ হয়েছে। তবে এসব তথ্যের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোন হিসেব নেই।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, এ সময়টাতে শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, হাসপাতালগুলোতেও রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের নানান রোগ দেখা দিচ্ছে। তাই তাদের প্রতি পরিবারের অন্য সদস্যদের বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত।
Leave a Reply