বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ডোপ টেস্টে বরিশাল মেটোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ১২ জন সদস্য মাদক সেবনের বিষয়ে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে চারজনকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকুরিচ্যুত হওয়া সদস্যদের মধ্যে কনস্টেবল থেকে এএসআই রয়েছেন। বাকিদের পুলিশ বিভাগ থেকে স্থানীভাবে চাকুরিচ্যুত করতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএমপি উপকমিশনার (সদর) আবু রায়হান মো. সালেহ।
আবু রায়হান মো. সালেহ জানান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্দেহভাজন সদস্যদের ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছর অক্টোবর মাসে। এরপর থেকে প্রতিমাসে দৈবচায়ন পদ্ধতিতে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের। এ পযর্ন্ত প্রায় অর্ধশত পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়। যাদের মধ্যে কনস্টেবল থেকে এএসআই পর্যায়ের চারজনকে চূড়ান্তভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বাকিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যাদের চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে। এ ছাড়া পুলিশের অভ্যন্তরীণ নজরদারিতে ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রমান পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাদকাসক্ত সদস্যদের ধরতে পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে গোয়েন্দা নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিট প্রধানরা কাউকে সন্দেহ করলে তারা গোপনে কমিশনার কার্যালয়ে মাদকাসক্ত কিংবা মাদক কারবারি পুলিশ সদস্যদের তালিকা প্রেরণ করেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ডোপ টেস্ট করা হয়।
এদের মধ্যে যাদের রিপোর্ট পজিটিভ হয় তাদের কিছুদিন পর আবার ডোপ টেস্ট হয়। এরপরও মাদকাসক্তি নিশ্চিত হতে তাদের তৃতীয়বার ডোপ টেস্ট করা হয়। এ প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি সর্বনিম্ন একজন সহকারী কমিশনার সম্পৃক্ত থাকেন। সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং স্বচ্ছতা রক্ষা করে দৈবচায়ন ভিত্তিতে তাদের ডোপ টেস্ট-সহ পরবর্তী অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। তাদের ন্যায় বিচারবঞ্চিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
Leave a Reply