রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পুরাতন হাসপাতাল সড়কের মজুমদার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সভায় উপজেলার সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ডাকা হয়। সভার শুরুতে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান তার লোকদের নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে মূলফটক আটকে দেয়। এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছা ছাত্রলীগ সভাপতির মূলফটক আটকে দেওয়ার প্রতিবাদ করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহবুবুর রহমান পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছাকে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও জেলা নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সময় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকুসহ জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ সভাপতির এ রকম আচরণে তারা হতভম্ব। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। পরে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা বলেন, কর্মী সভায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুর রহমান ভেতরে প্রবেশ করে মূলফটক বন্ধ করে দেয়। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছা মূলফটক বন্ধ করার কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুর রহমান পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছাকে লাঞ্ছিত করে। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে আমতলী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছা বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান কর্মী সভায় প্রবেশ করে কোনো নেতাকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেবে না বলে মূলফটক বন্ধ করে দেয়। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের বলেন, মুছা ভাইয়ের লোকদের পুলিশ ঢুকতে বাধা দেওয়া কারণে তিনি আমাকে মারধর করেন। আমতলী থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, কর্মী সভায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি।জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, সভাকক্ষে কে ঢুকবে আর কে ঢুকবে না এই নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির সঙ্গে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মুছাকে লাঞ্ছিত করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির অসৌজন্যমূলক আচরণে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply