আমার বাবার ছেলেবেলা :শেখ রেহানা Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




আমার বাবার ছেলেবেলা :শেখ রেহানা

আমার বাবার ছেলেবেলা :শেখ রেহানা

আমার বাবার ছেলেবেলা :শেখ রেহানা




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুলের এক অনুষ্ঠানে ‘আমার বাবার ছেলেবেলা’ শিরোনামে এক বক্তৃতায় তিনি বঙ্গবন্ধুর শৈশবের নানা ঘটনার পাশাপাশি তার রাজতৈনিক জীবনের নানা বাঁকের কথা তুলে আনেন।

 

 

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।

 

 

রেহানা বলেন, “আমার দাদা-দাদি, ফুফু, মায়ের মুখে শোনা এবং আব্বার নিজের লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে জানতে পারি এসব গল্প।… এই শিশুর আগমনে আজানের ধ্বনি, মধুমতি নদীর ঢেউ, পাখিদের কলতানে পুরো গ্রাম যেন আনন্দে মেতে উঠে। সারা গ্রামে মিষ্টি ও খোরমা বিলানো, গরিব দুঃখীদের মাঝে কাপড় বিলানো, মিলাদ পড়ানো নানা আয়োজনে উৎসবে পরিণত হল গ্রামটি।”

 

 

একান্নবর্তী পরিবারের শিশুটি সবার আদরে একোল থেকে ওকোলে চড়ে আনন্দেই শিশুকাল পার করছিল।

 

 

“সবার চোখের মনি, বড় দুই বোন তো কোল থেকে নামাতেই চাইতেন না। আরও একটু বড় হওয়ার পর আস্তে আস্তে আরবি বাংলা, ইংরেজি, ফারসি অংকসহ লেখাপড়াটা শুরু করে দিলেন। আব্বার লেখাপড়ার হাতেখড়ি দাদার কাছে।”

 

 

শেখ রেহানা বলেন, সব শিশুদের চেয়ে মুজিব ছিলেন একটু অন্যরকম। বাড়ির মুরুব্বি, শিক্ষক, কৃষক, মাঝিভাই সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করতেন- এই বাচ্চাটা অন্যসব বাচ্চা থেকে একটু অন্যরকম। এই বাচ্চার মনটা অনেক বড়, অনেক পরোপকারী। কারও দুঃখ কষ্ট দেখলে এগিয়ে যাওয়া, নিজের জামা খুলে অন্যের গায়ে তুলে দেওয়া, খাবার ভাগাভাগি করে খাওয়া দেখে মুগ্ধ নয়নে সবাই তাকাতো, আর দোয়া করত।

 

 

“ছোট্ট মুজিব সবকিছু জানতে চাইতেন। বাবাকে প্রশ্নের ওপর প্রশ্ন করতেন, তার বাবাও ছেলের সব প্রশ্নের উত্তর দিতেন। তিনি বই পড়ে শোনাতেন বড় বড় মানুষের কথা, ধর্মের কথা, বিজ্ঞানের কথা। আবার দাদা আর আমার আব্বা মুজিব ছিলেন ঠিক বন্ধুর মতন। দাদা যেমন শ্রদ্ধা আর সমীহ করে চলতেন, তেমনি সবকিছু তার সাথেই নিঃসংকোচে আলোচনা করতেন। কোনো দিনও তার খোকাকে কোনো কাজে বাধা দিতেন না।”

 

 

শৈশব থেকেই যে মুজিব অসহায় মানুষদের পাশে থাকতেন, সে কথাও শিশুদের সামনে তুলে ধরেন রেহানা।

 

 

“একবার এলাকায় খুব প্রাকৃতিক দুর্যোগ হল, ফসলের অনেক ক্ষতি হল। ঘরে ঘরে খাবারের জন্য হাহাকার। ছোট মুজিবের মনে মানুষের জন্য অনেক কষ্ট। দাদা দাদিকে বলে আমাদের গোলা ঘর থেকে ধান চাল বিলানো শুরু করলেন। … ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল সংগ্রহ করে যাদের নেই তাদের কাছে পৌঁছে দিতেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD