মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি //
বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া ইউনুচ আলী খান জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত মেহেদী হাসান লিটনসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে আমতলীর গোছখালী গ্রামের জব্বার পঞ্চায়েতের বাড়ির সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কলাগাছিয়া ইউনুচ আলী খান জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই স্কুল শিক্ষার্থীর সাথে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একজন শ্রমিক মেহেদী হাসানের (২৫) সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেহেদী হাসান বাগের হাট জেলার বাগের হাট পৌরসভার বাসিন্দা মো: আব্দুল জলিল এর ছেলে।
প্রেমের সূত্র ধরে গত তিন সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল নয়টার দিকে ওই শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার সময় মেহেদি হাসান তার কয়েকজন বন্ধুদের সহায়তায় গোছখালী গ্রামের জব্বার পঞ্চায়েতের বাড়ির সামনে থেকে তাকে মোটর সাইকেল যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণের পর তাকে কলাপাড়া উপজেলার একটি ভাড়া বাসায় আটকে রেখে ১১ দিন ধরে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর মেহেদি হাসান আজ রবিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে তাঁর বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য উত্তর গোছখালী গ্রামে নিয়ে আসে। এসময় খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশের এসআই মো: ফারুকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই শিক্ষার্থীর বাড়ির সামনে থেকে ধর্ষক মেহেদী হাসান ও তার সহযোগী মো: মুন্নাকে আটক করে এবং নির্যাতিত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে আমতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন মিলন জানান, স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এক সহযোগীসহ মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে বরগুনার শিশু আদালতে সোপর্দ করা হয়। ধর্ষিতা মেয়েটির জবানবন্দী গ্রহণ ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply