রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্যতম আলোচিত জুলাই গণহত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর)। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগে এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। রায় ঘোষণার দিন গোটা জাতির পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশও আগ্রহ নিয়ে নজর রাখছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এর তিন সদস্যের প্যানেল— চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী— গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিচারপ্রক্রিয়া যাতে সবাই সরাসরি দেখতে পারেন, সে জন্য রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় পর্দা বসানো হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রচারের ব্যবস্থাও করা হবে।
মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামসহ একাধিক প্রসিকিউটর অংশ নেন। ২৩ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান যুক্তিতর্কে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন। তবে তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়ায় তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। তার আইনজীবী খালাস প্রার্থনা করেন।
১৪ সপ্তাহব্যাপী সাক্ষ্যগ্রহণে ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জন সাক্ষ্য দেন। ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, আর ৮ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মাধ্যমে শেষ হয়।
আনা পাঁচটি অভিযোগ— উসকানি, অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুল হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো— নিয়ে প্রস্তুত করা হয় ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার মামলাসংক্রান্ত নথি, যার মধ্যে জব্দ তালিকা, দালিলিক প্রমাণ ও শহীদ তালিকার বিস্তারিত অন্তর্ভুক্ত।
Leave a Reply