মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ অব্যবস্থাপনা, চাঁদাবাজি আর নিরাপত্তার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে পিরোজপুরের নেসারাবাদের ভাসমান কাঠের বাজার। ফলে এ অঞ্চলের এক সময়ের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি মুখ থুবড়ে পড়ছে। চাঁদাবাজির কারণে বিভিন্ন জেলার কাঠ ব্যবসায়ীরা এ বাজারে আসা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি পুরাতন জনপদ নেসারাবাদ যা দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বরূপকাঠি নামে পরিচিত। উপকূলীয় এলাকা, ভৌগোলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ব্যবসায়ী বন্দর হওয়ায় প্রায় দেড়শ বছর আগে এখানে গড়ে ওঠে ভাসমান কাঠের বাজার। তখন এখানে বেশির ভাগ কাঠ আসতো সুন্দরবন থেকে।
১৮৮৫ সালে সুন্দরবনকে রিজার্ভ ফরেস্ট ঘোষণা করা হলে সেখান থেকে পরিকল্পিতভাবে কাঠ আহরণ শুরু হয়। ফলে কাঠের চালান কমে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে আসাম, ত্রিপুরা ও বার্মা থেকে কাঠ আসতে শুরু করে এখানে। আর তা কেন্দ্র করে এ বন্দরে সূচনা হয় বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের। শুধুমাত্র এ উপজেলাতেই গড়ে ওঠে দুই শতাধিক স’মিল। কর্মসংস্থান হয় হাজারো শ্রমিকের। আর কাঠ রূপান্তরিত হয় এখানকার অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিতে।
কাঠ ব্যবসায়ী মো. মিজান ও মোজ্জামেল বলেন, এখানে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি ও বাজারের অব্যবস্থাপনার কারণে কাঠ ব্যবসা এখন হুমকির মুখে। ফলে সরকার হারাতে বসেছে কোটি টাকার রাজস্ব। সরকারি উদ্যোগ আর যথাযথ পরিচালনায় রক্ষা পেতে পারে দেশের এ সর্ববৃহৎ পাইকারি কাঠের বাজার।
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, বর্তমানে এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে চলা পাঁচ হাজার পরিবার অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অব্যবস্থাপনা আর চাঁদাবাজির কারণে ধ্বংস হতে বসেছে জেলার ঐতিহ্যবাহী এ ভাসমান কাঠের বাজার।
Leave a Reply