বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সড়ক, ফুটপাত দখল করে যে যার মতো সাজাচ্ছেন দোকানপাট। ফুটপাতের পাশেই গাড়ি, বাইক, মাহিন্দা (থ্রি-হুইলার) ও অটোরিকশার লাইন। নগরীর সদর রোড, লঞ্চঘাট, হাতেম আলি চৌমাথা, রূপাতলি ও নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড, সাগরদি, পোর্ট রোড, চকবাজার ও শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেট সর্বত্রই একই চিত্র। ফল যানজটে থমকে থাকছে নগর। বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়ছেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, গণ-পরিবহনে যাত্রী ওঠানামার নামে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থা ও সরু সড়কের কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বড় সড়কগুলোর ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে। নগরীর বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশের দেখা মিললেও ফুটপাত দখলমুক্ত যেমন হচ্ছে না, তেমনিই কমছে না যানজট।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গেটের আশপাশের বেশকিছু অংশ ফল-বিক্রেতাদের দখলে চলে গেছে। দোকানদাররা তাদের পণ্য রাস্তার ওপর রাখছেন। ওষুধ বহনকারী পিকআপ, অ্যাম্বুলেন্স, রোগীর আত্মীয়-স্বজনের প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল হাসপাতাল ভবনের সামনে পার্কিং করা হয়েছে।
নিরাপত্তাকর্মীর কাছে হাসপাতালের পার্কিং ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে জানান, মোটরসাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকার পরেও অনেকে বিধিনিষেধ না মেনে পার্কিং করে। তাছাড়া প্রতিদিন এতো বেশি রোগী ও তাদের স্বজনেরা আসেন তাদের গাড়ির জন্য জায়গা দিতে মাঝে মাঝে হিমশিম খেতে হয়। এজন্য অনেক সময় রাস্তার ওপর গাড়ি পার্কিং করা হয়। তবে তা সাময়িক সময়ের জন্য।
রহিম নামে এক গাড়ি চালক বলেন, পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকলে গাড়ি রাখবো কই? জায়গা না থাকায় রাস্তায় রাখি। কিচ্ছু করার নেই।
নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, মোটরসাইকেল, মাহিন্দ্রা, অটোরিকশার যত্রতত্র পার্কিংয়ের পাশাপাশি রাস্তার ওপর গ্যারেজ ও পরিবহন মেরামতের কাজ এবং গণপরিবহনগুলোর চলাচলে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে দিনরাত সারাক্ষণই যানজট লেগে থাকে সড়কটিতে।
এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী মো. আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যাংকার বলেন, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ব্যস্ত সড়কগুলোর ওপর বেআইনিভাবে গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নগরবাসী। এ অব্যবস্থাপনা রোধে যথাযথ মনিটরিং দরকার।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ট্রাফিক বিভাগ সড়ক যানজট মুক্ত রাখতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ব্যবস্থা নিচ্ছে। অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা, জরিমানা ও রেকারিং করা হচ্ছে।
ফুটপাতগুলো বেদখলের ব্যাপারে তিনি বলেন, ফুটপাত দখলের বিষয়টি ট্রাফিক বিভাগ দেখে না। এরপরেও ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপর থেকে ভাসমান দোকান ও অবৈধ অবকাঠামো সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply