মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও নারী সদস্যের স্বামীকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দাউদখালী ইউপির (১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড) সংরক্ষিত নারী সদস্য মোসা. খাদিজা বেগম রোববার দুপুরে তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, এলাকায় ত্রাণসহ সফলতার সঙ্গে জনপ্রতিনিধির কার্যক্রম পরিচালনা করায় আমি ও আমার স্বামীর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়। এবং আমার প্রতিপক্ষ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে দুশ্চরিত্রা ও মামলাবাজ ৪ সন্তানের জননী ওই মহিলাকে ব্যবহার করে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, তার প্রতিবেশী ও উপজেলার দেবত্র গ্রামের জাকির হোসেন তালুকদারের স্ত্রী রাবেয়া (৩৫) একজন চরিত্রহীন ও মামলাবাজ। সে এলাকার একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এ ঘটনায় বিভিন্ন সময় আমার স্বামী প্রতিবাদ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়।
এলাকায় তার অপকর্মের প্রতিবাদ ও কতিপয় নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেয়ার ব্যাপারে তার পক্ষে না থাকায় এবং থানা হতে একটি মনোনীত সালিশ প্রধান করায় আমার স্বামীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরে গত ১০ জুন সন্ধ্যায় ওই নারী থানায় মামলা করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো।
মামলার বাদী রাবেয়ার দেবর জাহাঙ্গীর তালুকদার (৪৫) বলেন, বড় ভাইয়ের স্ত্রীর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। তার অশালীন চলাফেরা ও বিভিন্ন অপকর্মে বাঁধা দিলে আমাকেসহ বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে নির্যাতন ও একাধিক মামলায় আসামি করেছে। তার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আমার পিতা আ. রশিদ তালুকদার (৭৫) স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অবসরপ্রাপ্ত এমএলএস ও ওই এলাকার বাসিন্দা মো. ছগির মিয়া (৬২) বলেন, সামান্য একটি বিষয়ের জের ধরে প্রতিবেশী রাবেয়া বেগম তিনি ও তার পুত্র শাহাদাৎ হোসেনকে মিথ্যা ছিনতাই মামলা দিয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ওয়ার্ড চৌকিদার মো. রিপন খান বলেন, চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা একটি নোটিশ নিয়ে ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে ৬টার সময় রাবেয়ার বসতঘরে পৌঁছাই। নোটিশ পাওয়ার ১ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাবেয়া মহিলা ইউপি সদস্যের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষিত হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক রাহাত ধর্ষণ মামলাটি মিথ্যা ও সাজানো দাবি করে বলেন, ওই মহিলার সঙ্গে এলাকার কারো বনিবনা নেই। এলাকার নিরীহ লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির বিষয়ে পরিষদ থেকে রেজুলেশন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার পরিদর্শক আবদুল হক বলেন, এ মামলার প্রত্যক্ষ কোনো সাক্ষী নেই। অধিকতর তদন্তের পর বলা যাবে সে ধর্ষিতা হয়েছে কি না?
Leave a Reply