সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনার অতি জোয়ারের পানিতে ভোলার ৩ উপজেলার চরাঞ্চল ও নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার বিকালে স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে কয়েক ফুট উচ্চতায় মেঘনা নদীর পানি প্রবাহিত হতে থাকে। এতে করে ভোলা সদর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধের উপর দিয়ে পানি লোকালয় প্রবেশ করেছে।
এতে করে পাউবোর বাধের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছড়াও মনপুরা উপজেলায় হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, সোনারচর ও দৌলতখান উপজেলার মধ্য মেঘনার বুকের ইউনিয়ন মদনপুরে প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বুধবার দুপুরের পর থেকে ভোলার মেঘনার পানির চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। এক পযার্য়ে বিকালের দিকে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নাছির মাঝি, তুলাতুলি, ইলিশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাজিকান্দি, ৩নং ওয়ার্ডে সাজিকান্দি এলাকা দিয়ে অতি জোয়ারের পানি বেড়ি বাঁধের উপর দিয়ে উপচে পড়ে।
কোন কোন এলাকা দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে করে শতাধিক পরিবারের ঘরে পানি বুকে যায়। এছাড়া নিন্মাঞ্চলের মাছের ঘের পানি প্রবেশ করে। এছাড়া জোয়ারের পানিত ইলিশা ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটসহ বাজার এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়। এতে করে ফেরি ও লঞ্চ চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে।
অপর দিকে দৌলতখান উপজেলার মধ্য মেঘনার বুকের ইউনিয়ন মদনপুরে ১০ ফুটের বেশি উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
মদনপুরের বাসিন্দা মসজিদের ইমাম জহিরুল জানান, তার মসজিদ পানিতে প্লাবিত হয়েছে সেখানে প্রায় ৩ হাজার ঘর বাড়ি কয়েক ফুট পানিতে প্লাবিত হয়। সাধারন মানুষ চরম দুভোর্গে রয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নিবার্হী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান জানান, ভোলার মেঘনা নদীর পানি বিপদ সিমার ১ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোলা সদর উপজেলায় পাউবোর বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে কোন স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করেনি।
তবে কিছু কিছু এলাকায় পানির চাপে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। সেইসব এলাকায় জোয়ারের পানি কমে গেলে দ্রুত মেরামতের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
Leave a Reply