বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন
থানা প্রতিনিধি:জেলার মুলাদী উপজেলার প্রত্যন্ত চরকালেখান নেছারিয়া কামিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরনের পর দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ভিডিও চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।বখাটে ও তার সহযোগিদের অব্যাহত হুমকির মুখে ঘটনার চারদিন পরেও মামলা দায়ের করতে সাহস পাচ্ছেনা ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা। ভূক্তভোগি ওই ছাত্রী জানায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে ষোলঘর গ্রামের সৌরভ আলী ওরফে সরুবালী দেওয়ানের বখাটে পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে তার সহযোগি রাব্বী ও ইমরান খান তার পথরোধ করে জোরপূর্বক একটি ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে ভেদুরিয়া গ্রামের লালু খানের বাড়িতে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে মোবাইল ফোনে ভিডিওচিত্র ধারণ করে। সেখানে দুইদিন আটকে রেখে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে জাহাঙ্গীর।
খবর পেয়ে বখাটে জাহাঙ্গীরের বোনজামাতা ষোলঘর গ্রামের আলতাফ হোসেন খানের পুত্র বেল্লাল হোসেন খান বৃহস্পতিবার বিকেলে লালু খানের বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার নিজবাড়িতে পৌঁছে দেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের না করার জন্যও ছাত্রী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন করা হয়। বাড়ি পৌঁছে মাদরাসা ছাত্রী তার মাকে বিষয়টি জানানোর পর তার স্বজনরা জাহাঙ্গীরের বাবা-মা ও স্থানীয় গ্রাম্য মাতুব্বরদের কাছে বিচার দাবি করেন।ওই ছাত্রীর মা জানান, বিষয়টি ধামাচাঁপা দেয়ার জন্য জাহাঙ্গীরের পিতা-মাতা ও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল নানা তৎপরতা শুরু করেছে। এমনকি জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগিদের অব্যাহত হুমকির মুখে তারা মামলা দায়ের করতেও সাহস পাচ্ছেন না। মুলাদী থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, লোকমুখে বিষয়টি জানতে পেরে রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply