মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
এম. ইসহাক বাচ্চু আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলীতে বেশ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নষ্ট হয়েছে শত শত হেক্টর জমির বিভিন্ন জাতের সবজি। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের সবজির দোকানগুলোতে। দিন দিন বেড়েই চলেছে সবজির দাম।
মহামারী করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া দিন মজুর ও নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষগুলো এখন সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরণের সবজিতে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৪০ টাকার কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে সব সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
সরেজমিনে পৌরশহরসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি ছোট বড় হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৩০ টাকার প্রতি কেজি পটল ৫০ টাকা, ৪০ টাকার চিচিঙ্গা (জিংগা) ৬০ টাকা, ৫০ টাকার কাকরল ৮০ টাকা, ৩০ টাকার করলা ৫০ টাকা, ৪০ টাকার বেগুন ৬০ টাকা, ৪০ টাকার ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, ৫০ টাকার বরবটি ৭০ টাকা, ৩০ টাকার শসা ৫০ টাকা, ৪০ টাকার ওল কচুঁ ৬০ টাকা, ৫০ টাকার করলা ৮০ টাকা ও ২০ টাকার মিষ্টি কুমড়ার কেজি এখন ৩০- ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিপিছ লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ১৫ টাকার প্রতি আটি কচুর লতি ৩০ টাকা, ১০- ২০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের একেকটি শাকের আটি এখন সর্বনিম্ন ২০ থেকে ৪০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না।
ক্রেতা মোহাম্মদ টিটু মিয়া অভিযোগ করেন, বাজারে সবজি সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব সবজির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে বিক্রেতারা।
এছাড়াও আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ অন্যান্য জিনিসের দাম কিছুটা বাড়লেও হঠাৎ করে আলুর দাম বেড়ে গেছে। ১৬-১৮ টাকা কেজি মূল্যের আলু এখন একলাফে বেড়ে ৩০ টাকা হয়ে গেছে।
বাজার করতে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মহামারী করোনায় তাদের আয় রোজগার প্রায় বন্ধের পথে। এরই মধ্যে বাজারে সরবরাহ কম থাকার অজুহাত দেখিয়ে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
আমতলী নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টির কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে সব ধরণের সবজির দাম একটু বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, এ মৌসুমে উপজেলার দুই শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। বেশ কিছুদিন একটানা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জাতের এক শ’ ৫০ হেক্টর সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে বাজারে সবজির দাম বেড়েছে।
Leave a Reply