রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সাংসদ তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে ওরা আওয়ামী লীগকে বিনাশ করতে চেয়ে ছিল। ওরা জানে না বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা যায় না।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর সাথে কখনো বেইমানি করেননি। তারা ছিলেন সৎ, আদর্শবান ও নিবেদিত নেতা। বরং সারাটা জীবন বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যখন প্রয়োজন হয়েছে জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতীয় ৪ নেতার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। যতদিন বাংলার মাটি ও মানুষ থাকবে ততদিন জাতি কৃতজ্ঞ চিত্তে ৪ নেতাকে স্মরণ করবে।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ নেতা বলেন, আজকের এই দিনে ময়মনসিংহ কারাগারে বন্দি ছিলাম। এই ময়মনসিংহ কারাগারে একজন মেজর অস্ত্রসহ প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু কারাগারের জেল সুপার ও ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার অস্ত্র নিয়ে কাউকে জেলের মধ্যে প্রবেশ করতে দেয়নি উল্লেখ করে জাতীয় ৪ নেতার সাথে বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরেন এবং তাদেরকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা হতো না। আজ আমরা সেই নেতার জন্ম শতবার্ষিকী পালন করছি। কিন্তু করোনার কারণে আমরা যে ভাবে পালন করতে চেয়ে ছিলাম সে ভাবে পালন করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো যাতে, সেই পরিবারের কেউ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ট হতে না পারে।
তোফায়েল বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার কন্যা শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু তিনি আজ আল্লাহর অসীম রহমতে তিনি বেঁচে থেকে বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের পতাকা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক। ওই পতাকা তুলে দিয়ে ছিলাম বলেই এই দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। ঘাতকদের স্বপ্নপূরণ হয়নি। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে মর্যাদাশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে। অতীতের যে কোন সময় থেকে আওয়ামী লীগ সংগঠিত ও শক্তিশালী।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, সাফিয়া খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-দফতর সম্পাদক সামসুদ্দিন আহম্মেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আহ্বায়ক আবু সায়েম, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার পাশা বিপ্লব, ভোলা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মামুনুর রশীদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply