সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঘূর্নিঝড় বুলবুলে ইন্দুরকানীর ২০ নং সেউতিবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও ভবনের উপর ২টি বড় চম্বল গাছ উপড়ে পড়ে। গাছ দুটি মাসের পর মাস এভাবে পড়ে থাকায় বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ এবং মাঠে খেলাধুলা ও প্রাত্যহিক সমাবেশ ব্যহত হচ্ছে। শিশুরা গাছের উপর খেলতে উঠে পড়ে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে নানা রকম দূর্ঘটনা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছ অপসারনের জন্য নিলামের উদ্যোগ নিলেও বিদ্যালয়ের জমি ও গাছের উপর এক প্রতিবেশীর লোলুপ দৃষ্টি পড়ায় এর কোন সমাধান করতে পারেনি কতৃপক্ষ বরং বেড়ছে জটিলতা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিনয় বরণ হালদার জানান, ৯ নভেম্বর ২০১৯ ঘূর্নিঝড় বুলবুলে বিদ্যালয়ের মাঠ ও ভবনের উপর বড় ২টি চম্বল গাছ উপড়ে পড়ে।এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আরো ৩টি গাছ। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ১২ নভেম্বর ২০১৯ ইং এক সভা ডেকে রেজুলেশন করে গাছগুলো অপসারনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২৪ ডিসেম্বর গাছগুলো প্রকাশ্যে নিলামের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু হঠাৎ করে প্রতিবেশি লতিফ হাওলাদার বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে জমির দাবী করায় কারনে নিলাম বন্ধ হয়ে যায়। গাছগুলো দ্রুত অপসারন না হলে শিক্ষার্থীদের স্কুল মাঠে খেলাধুলা এবং প্রাত্যহিক সমাবেশ সহ শিক্ষা কার্যক্রম দারুন ভাবে ব্যহত হচ্ছে। গত ৮ ফেব্রুারী হাবিবুল্লাাহ নামে এক ছাত্র গাছের উপর খেলতে উছে পড়ে গিয়ে আহত হয়।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ কমান্ডার জানান, জমিদাতা সোবাহান হাওলাদার বিদ্যালয়ের নামে ৪২ শতক জমি দান করেন। এসএ খতিয়ান অনুযায়ী যার দাগ নং ৪০৯, ৪১০ ও ৯২১ কিন্তু বর্তমানে বিদ্যালয়ের দখলে আছে মাত্র ২৯ শতক জমি। বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের অন্য কারো জমি নাই। গাছের লেভে তারা জমি মিথ্যা দাবী করছে।
এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখেছি। আগামী বৃহস্পতিবার সরকারী আমিন দিয়ে বিদ্যালয়ের জমি মেপে ফয়সালা করা হবে।
Leave a Reply