সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
কাউখালী প্রতিনিধি॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে পিরোজপুরের কাউখালী নদীতে ভাসমান বাজার চালু করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সন্ধ্যা নদীতে নোঙ্গর করা জাহাজ, কোস্টার, কার্গো ও বার্জের মাস্টার, সুকানী ও কর্মচারীদের বাজারে যাওয়া নিরুৎসাহিত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির ব্যবস্থা কমিটির সহায়তায় কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখা এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
জাহাজগুলোতে ট্রলারে করে ন্যায্যমূল্যে দেশী মুরগী, চাল, ডাল, আদা, রসুন, তেল, সাবান, তরিতরকারীসহ প্রায় সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়।
পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে ক্রমান্বয়ে উপজেলা নদীর তীরে অবস্থিত বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, পিরোজপুরের কাউখালী নদীবন্দরটি দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র আন্তর্জাতিক নৌপথ। এ পথ থেকে গাবখান-বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকল চুক্তির জাহাজ এবং ঢাকা-খুলনা-মোংলা-চট্টগ্রাম পথের পণ্য ও যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল করে। চলাচলের পথে কাউখালী স্টীমার ঘাট সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে প্রতিদিন ২০/২৫টি জাহাজ নোঙ্গর করে থাকে। জাহাজের প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী কাউখালী বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয়সহ বিভিন্ন বাজার এবং বিভিন্ন হোটেলে আড্ডা দিয়ে থাকেন।
জাহাজের মানুষকে যাতে বাজারে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে শাক-সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে না হয় সে জন্য উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের সহায়তায় ভাসমান বাজারের ট্রলার জাহাজে জাহাজে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখা বলেন, করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় মানুষকে নিরাপদে ঘরে থাকা জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে তার পাশাপাশি নদীতে চলাচলকারী মালবাহী জাহাজের কর্মরত মানুষের জন্য ভাসমান বাজার চালু করা হয়েছে।
তনি আরও বলেন, এই নদীটি ঝালকাঠির বিষখালী, সুগন্ধা থেকে কাউখালীর কচা, সন্ধ্যা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। ১৯৫০ সালে মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার পর এটি আন্তর্জাতিক নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌ-যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদ দিয়ে প্রতিদিন পণ্য ও যাত্রীবাহী দেশি-বিদেশি ১০০ থেকে ১২০টি জাহাজ চলাচল করে থাকে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ক্রেতা ও সচেতন মহল।
ভাসমান বাজার চালু করার সময় উপস্থিত ছিলেন, কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিঞা মনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রফিকুল হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পল্টন, জেপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম নসু, কাউখালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ মিলটন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জি এম সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
Leave a Reply