সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘পাপিয়া শাসকদলের অনেকের মনোরঞ্জন করতেন। আমার প্রস্তাব থাকবে- সর্বোচ্চ মেডিকেল টিম গঠন করে পাপিয়া ও তার সাথে থাকা নারী নেত্রীদের ডিএনএ টেস্ট করা হোক। তাদের এইচআইভি পজেটিভ কিনা সে পরীক্ষা করা হোক। যদি এইচআইভি পজেটিভ থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের সেই প্রভাবশালী নেতা প্রশাসনের কর্মীরা এইচআইভিতে আক্রান্ত। এদের কারণে সারাদেশে এইডস ছড়াতে পারে তাই এদেরকে গ্রেপ্তার করা হোক। কারণ করোনাভাইরাসের মত এটা সারাদেশে ছড়িয়ে যেতে পারে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলাল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন নিয়ে আমরা যখন বলি সাংবিধানিক অধিকার তখন আওয়ামী লীগের মাখন খাওয়া কিছু আইনজীবী বলে এটা সংবিধানে নাই। দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য ৫টি মৌলিক অধিকার সংবিধানে আছে সুতরাং জামিন পাওয়া বেগম খালেদা জিয়ার সাংবিধানিক অধিকার। পিলখানার হত্যাকাণ্ড ১১ বছর হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত বিস্ফোরক মামলা নিম্ন আদালত থেকে বের হতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন যুবদলের সাবেক এই সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রতিটি ব্যবসায়ীকে চিঠি দিচ্ছে যে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আপনারা অনুদান দিবেন। অনুদান যেন কোন ক্রমেই ১০ লাখ টাকার নিচে না হয়। এবং ইতিপূর্বে যদি আপনি প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দিয়ে থাকেন সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। তার সমপরিমাণ বিজ্ঞাপন দিতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলে বেড়ান মুজিববর্ষে কেউ বাড়াবাড়ি করবেন না। একটা বাড়াবাড়ির উদাহরণ দিলাম।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন, ‘জাতির সাথে যত হাসি মশকরা তামাশা করছে- তার হিসাব একদিন দিতে হবে। জাতিকে ধ্বংস করে সেই ধ্বংস স্তুপের ওপর প্রমোদভবন তৈরি করবেন সেই প্রমোদভবন গুঁড়িয়ে দেয়া হবে। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি না পেলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। তাই দেশ প্রেমিক সৈনিকরা যেখানে আছেন ইউনিফর্ম পড়াই হোক আর যে পোশাকে পড়াই হোক। দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ সে উদ্বুদ্ধ হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে নামতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের যুগ্ম আহবায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply