শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের এক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বার ঘটনা ঘটেছে।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আরফান আলী হাওলাদার বাড়ীর আলমগীর হাওলাদারের প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৮) মেয়ে রেহানা আক্তারকে একই এলাকার পার্শবর্তী সামছুল হাওলাদারের ছেলে হানিফ হাওলাদার (৪০) গত ৫ মাস পূর্বে রেহানাকে বাড়ীতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।
হানিফ ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বেই রেহানার মায়ের হাতেনাতে ধরা পরে।কিশোরীর মা ও বাবা তাৎক্ষনিক ঘটনাটি হানিফের বড় ভাই হারুন হাওলাদারসহ (৪,৫,৬)নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আরজু বেগম ও তার স্বামী বুলু মোল্লাকে জানান।কিন্তু ঘটনার ৫ মাস অতিবাহিত হলেও তারা কেউ ঘটনার কোনো বিচার না করে উল্টো রেহানার পরিবারকে চুপ থাকার জন্য হুমকি প্রদান করে।
এদিকে ঘটনার ৫ মাস পর প্রতিবন্ধী রেহানা অসুস্থ হয়ে পরলে ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরিক্ষা নিরীক্ষার পর সে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা বলে জানান।ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে পরলে (৪,৫,৬)নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আরজু বেগমের স্বামী বুলু মোল্লাসহ একটি কু-চক্রী মহল লম্পট হানিফের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ধামাচাপা দেয়ার জন্য উঠে পরে লেগেছে।
এমনকি রেহানার পরিবারকে এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দুমকি অব্যহত রেখেছে।৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম খন্দকার জানান,রেহানা সরকারি তালিকা ভুক্ত একজন প্রতিবন্ধী।সে প্রতিমাসে সরকারি ভাতা পেয়ে আসছে।হানিফ যে ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা সত্যিই দুঃখ জনক।
শুনেছি ঘটনাটি ধামাচাপার জন্য একটি মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে।এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধী রেহানার বাবা আলমগীর হাওলাদারসহ স্থানীয় লোকজন লম্পট হানিফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।ধর্ষক হানিফ হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে তার ঘর তালাবদ্ধ হওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply