সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
কাউখালী প্রতিনিধি॥ কাউখালীতে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী কক্ষ গুলো করোনাকালীন বন্ধ থাকার কারনে অবহেলায় পড়ে রয়েছে। অনেক বিদ্যালয় ভবনে গরু, ছাগল মাঠে জঙ্গল, ঘাস, ময়লায় ভরপুর।
১৩ জুন স্কুল খোলার সরকারের পরিকল্পনার পূর্বে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদানের এখনো উপযুক্তভাবে পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কৃষ্ণ চাকী জানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্য খোলার নির্দেশনা খবর পেয়ে শ্রেণিকক্ষগুলো পাঠদানের পরিবেশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করার জন্য অনলাইনে প্রতিষ্ঠানে একটি চিঠি প্রদান করা হয়েছে। কোন প্রকার কোন তদারকি না থাকায় বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৯টি, মাদরাসা রয়েছে ১২টি, কলেজ ২টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৭টি এছাড়াও ৩টি কারিগরি স্কুল ও ৩টি কারিগরি কলেজ রয়েছে। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার ৭নং বেতকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাগলের বাসস্থানে পরিণত হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক হাবিবুল্লাহ ফকির বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনে শ্রেণিকক্ষগুলো সু-সজ্জিত রয়েছে, পরিত্যক্ত ভবনে রাতের আধারে কে বা কারা ছাগল আনা-নেওয়া করে শিক্ষকরা তা জানেন না। বিদ্যালয় খুললে পরিবেশ ঠিক হয়ে যাবে।
সরোজমিনে গিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এবারের চিত্র দেখা যায়। উপজেলার একমাত্র এস.বি সরকারি বালিকা বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায় ছোট্ট একটি জায়গায় মধ্যেই তিনদিকেই ভবন। ভবনগুলোর সামনে যে খোলা জায়গা রয়েছে ৭শতাধিক শিক্ষার্থীদের শ্বাস -প্রশ্বাস নিতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিভাবকরা জানান। ভবনের সামনে যেটুকু খোলা জায়গা রয়েছে সেটুকু নতুন ভবন নির্মাণের জন্য খোয়া, রড ও নির্মাণ সামগ্রী রেখে আটকে রাখা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৭টি শ্রেনিকক্ষের জন্য নির্ধারিত কক্ষ থাকলেও এর মধ্যে ২টি কক্ষই প্রায় বছর খানেক ধরে কোস্ট গার্ড অবস্থান করছেন। টয়লেট দুটি ও সামনের করিডোরও তারা ব্যবহার করছেন। ফলে ৪টি কক্ষে ৫টি শ্রেণি পরিচালনা করা সম্পূর্ণরূপে অসম্ভব। বিদ্যালয় খুললে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করা দূরুহ হয়ে যাবে।
কোস্টগার্ডের ব্যাপারে লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করলেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এদিকে এলাকার অভিভাবকরা অভিযোগ করেন একটি বালিকা বিদ্যালয় যেখানে শত শত ছাত্রী বিদ্যালয়ে করোনাকালীন সময়ে এ্যাসাইনমেন্টসহ কোন না কোন কাজে উপস্থিত হতে হয়।
সেক্ষেত্রে পুরুষ কোস্ট গার্ড উপস্থিতিতে বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটু বিব্রতবোধ করতে হয়। ফলে আগামী ১৩ জুন সরকার ঘোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে এই বিদ্যালয়ে পাঠদান চরমভাবে ব্যহত হবে বলে মন্তব্য শিক্ষার্থী অভিভাবক সহ সুধি মহলের।
এ ব্যাপারে এস.বি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হওয়ার আগেই বিদ্যালয়ের পাঠদানের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা হবে। বার্তা প্রেরক
Leave a Reply