সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
কাউখালী প্রতিনিধি॥ দেশব্যাপী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আজ এপ্রিল ( ১৪ এপ্রিল) যে কঠোর লকডাউ শুরু হয়েছে তার অংশ হিসেবে কাউখালীতে চলছে লকডাউন। যার ফলে উপজেলার ছোট বড় সকল হাট-বাজার গুলোতে দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাটে নেই তমন কোন মানুষের কোলাহল, ভয়ে আতঙ্কে সবাই যেন নিস্তব্ধ। ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সবাই মহাসংকটে পড়েছে আজকের এই লকডাউনে।
আজ রমজানের প্রথম দিন মানুষের কাঁচা বাজার সহ অন্যান্য মালামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে না পেরে সকালের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আবার কেউ কেউ উঁকি ঝুঁকি দিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়া একটু-আধটু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুললে তা আবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরে আসলেই দিতে হচ্ছে জরিমানা। একদিকে করোনার ভয় অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামালের চাহিদা পূরণ ও রোজাদার মানুষদের কষ্ট লাঘব করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃখালেদা খাতুন রেখা নিয়েছেন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। তিনি চালু করেছেন ভ্রাম্যমান বাজার।
গত বছর এই দিনে ভ্রাম্যমান বাজার হয়ে উঠেছিল সকালের আস্থার ঠিকানা এবং সব ধরনের মানুষ চাহিদা পূরণে ঘরে বসেই শাকসবজি তরিতরকারি মাছ-গোশত পেয়ে খুশিতে ঘর থেকে কেউ বাহিরে আসেনি যার ফলে কাউখালীতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। গত বছরের সফলতার কথা চিন্তা করে এ বছর আজ কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনেই চালু করেছেন ভ্রাম্যমান বাজার।
সকাল ছয়টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ব্যানার সম্মিলিত বিভিন্ন ভ্যানে ও গাড়িতে ফলমূল শাকসবজি মাছ মাংস ডিম সহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে ভ্রাম্যমাণ বাজারের গাড়িগুলো পাঠিয়ে দেন উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ও বাড়িতে বাড়িতে। নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ন্যায্যমূল্যে পৌঁছে দিতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
অন্যদিকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে লক লকডাউন নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং দোকানপাট বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে ঘরে পাঠিয়ে দেন। যারা সরকারি আইন মানতে ব্যর্থ হয় তাদেরকে ভ্রম্যমান আদালতে জরিমানা করতে দেখা যায় উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে। অন্যদিকে মানুষের জীবন রক্ষায় সরকারি নির্দেশনা মানতে প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন উপজেলার প্রতিটি এলাকায়।
Leave a Reply