ইউএনওর হস্তক্ষেপে প্রবেশপত্র পেয়ে পরিক্ষায় অংশ নিলো সেই ফারজানা Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




ইউএনওর হস্তক্ষেপে প্রবেশপত্র পেয়ে পরিক্ষায় অংশ নিলো সেই ফারজানা

ইউএনওর হস্তক্ষেপে প্রবেশপত্র পেয়ে পরিক্ষায় অংশ নিলো সেই ফারজানা




ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগর ইউনিয়ের কাঠিপাড়া আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় দাখিল পরিক্ষার একদিন আগেও প্রবেশপত্র হাতে না পেয়ে আঝরে কাঁদছিলো ওই মাদ্রাসার ফারজানা নামে এক শিক্ষার্থী। পরিক্ষা দেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় পাগল ছিলো ওই শিক্ষার্থীসহ তার পরিবার। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে ফারজানা ও তার পরিবারের মুখে হাসি ফোটালো রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা ইয়াসমিন।

বৃহস্পতিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ফারজানা সাংবাদিকদের কাছে কেঁদে কেঁদে জানিয়েছিলে পরিক্ষা না দিতে পারলে সে আত্মহত্যা করবে। ফারজানা ও তার পরিবারের অভিযোগ ছিলো, ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দাখিল পরিক্ষা। কাঠিপাড়া আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় রেগুলার মোট ৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে সবাই-ই প্রবেশপত্র হাতে পেয়েছে শুধুমাত্র ফারজানা ছাড়া। প্রবেশপত্র না পাওয়ার কারন জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার জহিরুদ্দিন কামাল ও অফিস সহায়ক কবির ফারজানাকে বলে তোমার ফরম ফিলাপের টাকা আমরা ফেরৎ দিবো নয়তো আগামী বছর তুমি পরিক্ষা দিলে তোমাকে আর কোনো টাকা দিতে হবেন।

এ বিষয়ে ফারজানার ভাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সাংবাদিকদের কাছেও আসে সেই অভিযোগের কপি। অভিযোগ পেয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসায় সুপার সহ ওই প্রতিষ্ঠানে মোট ১৯ জন শিক্ষক কর্মচারী থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ১০ থেকে ১৫ জন। মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এদিকে ফারজানার ভাইয়ের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা আলম এর কঠোর হস্তক্ষেপে ঢাকা মাদ্রাসা বোর্ড থেকে মাদ্রাসার সুপার জহিরুদ্দিন কামাল প্রবেশপত্র এনে ১৪ ফেব্রুয়ারী রাতে ফারজানার হাতে তুলে দেয়। আর প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারী শুরু হওয়া পরিক্ষায় অংশ নেয় ফারজানা।

ফারজানার ভাই শাওন জানান, আমার বোন ১৫ ফেব্রুয়ারী রাজাপুর ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে পরিক্ষা দিয়েছে। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তার বোন ফারজানার জন্য দোয়া চান।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন জানান, অভিযোগ পেয়ে ওই মাদ্রাসার সুপারকে দ্রুত এই সমস্য সমাধান করে ফারজানার হাতে প্রবেশপত্র পৌছে দিতে বলি। ১৪ ফেব্রুয়ারী রাতে প্রবেশপত্র হাতে পায় ফারজানা। প্রবেশপত্র হাতে পেয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারী শুরু হওয়া পরিক্ষায় অংশ নেয় ফারজানা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD